কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে পারবে না, বলছে অর্থ বিভাগ।
সংগৃহিত
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের অর্থ বরাদ্দের হিসাব নিকাশে মন্ত্রণালয়গুলোকে আরও কৃচ্ছ্রতার পথে হাঁটার তাগিদ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু ব্যয় বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সংশোধিত বাজেটের প্রাক্কলন অর্থ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন,যা পরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়। আগের অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম এবং সংশোধিত বাজেটের (৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।
সোমবার সংশোধিত বাজেটের জন্য বরাদ্দ চাওয়ার পরিপত্রে বলা হয়, কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে পারবে না। একই চলমান সংকোচনমূলক নীতির প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছরের মতো সংশোধিত বাজেটেও ব্যয় সাশ্রয় বা কৃচ্ছ্রসাধন নীতি অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই মূল বাজেটে বরাদ্দের মধ্যেই থাকতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। তবে সরকারের অগ্রাধিকার কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনে মূল বাজেটে বরাদ্দের ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে একই ধরনের বিভিন্ন কাজে বরাদ্দ কমানো বা বাড়ানো যাবে।
উন্নয়ন ব্যয়ের অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে ধারণা করা গেলে ওই অর্থ কোনোক্রমেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।
এতে বলা হয়, ব্যয় সাশ্রয় নীতির অংশ হিসেবে সরকারি খরচে লাগাম টানতে সব ধরনের বৈদেশিক কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে সংশোধিত বাজেটেও। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিদেশ ভ্রমণ করা হবে।
তাছাড়া কেনা যাবে না গাড়ি, জাহাজ ও উড়োজাহাজ। তবে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের পুরোনো গাড়ির প্রতিস্থাপন হিসেবে নতুন গাড়ি কেনা যাবে।
পরিচালন বাজেটে আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় শর্তসাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।
আরও কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় স্থগিত রাখা হয়েছে আবার গুরুত্ব বিবেচনায় এসব ক্ষেত্রে ব্যয়ে কিছুটা ছাড়ও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।
