২৫ জন নির্বাচিত কনটেন্ট নির্মাতাকে সোনার আংটি এবং তাদের প্রোফাইলের সঙ্গে মানানসই একটি বিশেষ ব্যাজ দেবে ইনস্টাগ্রাম।
হতে সংগৃহিত
শীর্ষস্থানীয় কনটেন্ট নির্মাতাদের সোনার আংটি দিয়ে সম্মানিত করবে ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম।
সোমবার নতুন এক ‘রিংস’ পুরস্কার চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইনস্টাগ্রাম, যেখানে ২৫ জন নির্বাচিত কনটেন্ট নির্মাতাকে সোনার আংটি এবং তাদের প্রোফাইলের সঙ্গে মানানসই একটি বিশেষ ব্যাজ দেবে অ্যাপটি। তবে এই সম্মাননার সঙ্গে কোনো নগদ অর্থ থাকবে না।
বিজয়ীদের নির্বাচন করবে বিশেষ এক প্যানেল। এ প্যানেলে সদস্যদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি, চলচ্চিত্র নির্মাতা স্পাইক লি, ডিজাইনার মার্ক জেকবস ও জনপ্রিয় ইউটিউবার মার্কেস ব্রাউনলি থাকবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি।
এর আগে, নিজেদের কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ‘বোনাস’ প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিল মেটা মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম। ফলে পুরো শিল্পজুড়েই ব্র্যান্ড চুক্তির গতি কমে আসে। ঠিক এরপরই এ নতুন উদ্যোগ নিল মেটা। এতে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের অন্যতম ধনী কোম্পানি কেন সরাসরি অর্থ না দিয়ে গয়না ও প্রোফাইল ফিচারের মাধ্যমে পুরস্কৃত করছে।

বিজয়ীদের নির্বাচন করবে বিশেষ এক প্যানেল। ছবি: ফ্রিপিক
তবে মার্কেস ব্রাউনলি বলেছেন, “বিষয়টি মূলত বিশেষ ধরনের পরিচিতি ও মানুষকে অনুপ্রাণিত করার এক উপায়, যাতে তারা আরও ভালো কনটেন্ট তৈরি করে এমন সম্মাননার জন্য কাজ করতে পারেন।”
ব্রাউনলি আরও বলেছেন, কেবল ফলোয়ার বেশি আছে বলে নয়, বরং তিনি এমন কনটেন্ট নির্মাদের মনোনয়ন দিয়েছেন যাদের কাজে সবচেয়ে বেশি শ্রম দেওয়া ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা দেখা গিয়েছে।
বিজয়ীরা আরও এক বিশেষ সুবিধা পাবেন, যেখানে তারা চাইলে নিজেদের প্রোফাইলের ব্যাকড্রপ বা পেছনের রং পরিবর্তন করতে এবং ‘লাইক’ বাটনটিও নিজেদের মতো করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুকে ‘রিলস প্লে’ বোনাস প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিল মেটা, যা অনেক নির্মাতার জন্য ছিল আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সেই সময় অনেকেই অনলাইনে অভিযোগ করেছিলেন, এই অর্থ পাওয়ার সুযোগ না থাকায় তাদের জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালের জুনে মোসেরি বলেছিলেন, নির্মাতাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কিছু পরিবর্তনের কথা ভাবছে কোম্পানিটি। তবে কোনো নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি মেটা।
এদিকে, নিজেদের কনটেন্ট নির্মাতাদের কাজের জন্য সরাসরি অর্থ দেয় মেটার প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ও টিকটক।
সেপ্টেম্বরে ইউটিউব বলেছে, গত চার বছরে নির্মাতাদের ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়েছে তারা।