শার্শা উপজেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৬টি মাদ্রাসায় ক্লাস বর্জন করে এ কর্মসূচি চলছে বলে জানান উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
হতে সংগৃহিত
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে যশোরের শার্শা উপজেলার এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘লাগাতার কর্মবিরতি’ চলছে।
সোমবার থেকে উপজেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৬টি মাদ্রাসায় ক্লাস বর্জন করে এ কর্মসূচি চলছে বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শাহাজান কবীর।
ধলদাহ তবিবর রহমান সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আয়ুব হোসেন বলেন, “মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবিতে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার থেকেই আমরা ক্লাস বর্জন করেছি।”
বেনাপোল মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মাদ্রাসায় কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। উপজেলার সব মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ আছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত আছেন।”
বাগআচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খান হাসান আরিফ আহম্মেদ লিটন বলেন, “দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির প্রতি উপজেলার সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমর্থন রয়েছে। তাই আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।”
এছাড়া শার্শা উপজেলার বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পাকিজা আক্তার।
বেনাপোল মহিলা আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, “শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।”
এর আগে রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সেদিন দুপুর দেড়টায় তারা পুলিশের অনুরোধে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান ধরে রাখেন।
এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক থেকে শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যেতে বলে। কিন্তু শিক্ষকদের একটা অংশ তা মানতে রাজি হয়নি। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া বলতে থাকে।
এক পর্যায়ে পুলিশ পর পর বেশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়।
শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।
