নির্বাচন কমিশন রোববারের মধ্যে নির্ধারিত তালিকা থেকে এনসিপিকে প্রতীক বেছে নিতে বলায় দলটির নেতাদের এই প্রতিক্রিয়া।
হতে সংগৃহিত
নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক নিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে সময় বেঁধে দেওয়ার পর শাপলার পক্ষে সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন দলটির নেতারা।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা মঙ্গলবার বিকালে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।”
এরপর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ফেসবুক পেইজে ওই পোস্ট শেয়ার করেন।
একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, “এনসিপি শাপলাই পাবে।”
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সমনে রখে এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দল দুটির প্রতীকসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে।
এর মধ্যে এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে মার্কা বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেয় ইসি।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতীক বেছে না নিয়ে বিধি সংশোধন করে ফের শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশন মনে করে, তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটিকে তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে না জানালে ইসি স্বীয় পদ্ধতিতে দলটিকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে।”
তিনি বলেন, এনসিপি শাপলা দাবি করলেও প্রতীক তালিকায় না থাকায় তা বরাদ্দ দেওয়া যায়নি। ইসির সিদ্ধান্ত একই আছে।
ওই ব্রিফিংয়ের পর এনসিপি নেতারা ফেইসবুকে শাপলার দাবিতে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকেন।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা লেখেন, “বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।”
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেওয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন এই এনসিপি নেতা।
তিনি বলেন, “আজকেও সচিব যা বললেন, তার সারমর্ম–আইনগত প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না, শাপলা না দেওয়া কমিশনের মন-মর্জির উপর নির্ভরশীল। আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না।
“কোন প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী, নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমান কোনো রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।”
