ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে এ উৎসব আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
হতে সংগৃহিত
ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়ে গেল ‘লালন উৎসব ও লালন মেলা’।
জাতীয় পর্যায়ে ‘প্রথমবারের মতো’ শনিবার সন্ধ্যায় এ উৎসব আয়োজন করার কথা জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায়’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে এ উৎসব আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় লালন ধামে তিনদিনের উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার, যা শেষ হবে রোববার।
আর ঢাকায় শনিবার অনুষ্ঠিত হয় একদিনের আয়োজন; যাতে সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় ভিডিওচিত্র। পরে শুরু হয় লালন সংগীতানুষ্ঠান। শুরুতেই ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’, ‘আল্লাহ বলো মনরে পাখি’ এবং ‘যদি তরিতে বাসনা থাকে’ গানগুলো পরিবেশন করেন এ্যানি বৈরাগী ও সুখলাল রায়।
শিল্পী সূচনা শেলী পরিবেশন করেন ‘কি সন্ধানে যাই সেখানে মনের মানুষ যেখানে’, ‘আলিফ দিয়ে টোকা মারো’। লালনের বিখ্যাত গান ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ ও ‘আমার ঘরখানায় কে’ পরিবেশন করেন ফাহমিদা আহমেদ শিফা।
বাউলা ব্যান্ড পরিবেশন করে ‘প্রাণ গৌর এসে’, ‘দিলনা দিলনা’, ‘রবে না এ ধন’ প্রভৃতি গান। এরপর মঞ্চে ওঠে গানের দল ‘টংয়ের গান’।
শিল্পী পথিক নবী ও টিম ক্রিয়েটিভ পরিবেশন করে ‘তিন পাগলের হলো মেলা’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’, ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি’সহ লালনের কয়েকটি গান।
শিল্পী অরূপ রাহী ‘পাপ পূণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই’, ‘মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার’সহ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন।
সমগীত গেয়ে শোনায়- ‘আছে যার মনের মানুষ মনে তোলা’, ‘এমন মানব জনম আর কি হবে’, ‘গোষ্ঠে চলো হরি মুরারী’ গানগুলো।
লালনসংগীত পরিবেশন করেন নীরব অ্যান্ড বাউলস, দীনা মণ্ডল, মুজিব পরদেশী, কানিজ খন্দকার মিতু ও সাগর বাউল।
আলেয়া বেগম, শিবলু, মাখন দেওয়ান মার্থা, টুনটুন বাউলের দল ‘বেঙ্গল সিম্ফনি’ পরিবেশন করে ‘মিলন হবে কতো দিনে’, ‘মন তুই করলি রে কি ইতর পনা’, ‘তিন পাগলের হইলো মেলা’, ‘কানার হাট বাজার’ গান।
সবশেষে সংগীত পরিবেশন করে ব্যান্ড ‘লালন’। তারা একে একে পরিবেশন করেন ‘জাত গেল’, ‘ক্ষ্যাপা’, ‘অপার’, ‘সময় গেলে’, ‘গুরুর চরন’ ও ‘পাগল’।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান, ল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাব অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
