রুবেলের বোন নয়ন আক্তারের দাবি, রুবেলকে তার স্ত্রীর পছন্দ হয়নি। এতে বিয়ের পর থেকেই তাদের বিরোধ চলছিল।
হতে সংগৃহিত
লক্ষ্মীপুরে বিয়ের আট মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়ির গাছ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সিবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুল মোন্নাফ।
লাশ উদ্ধার হওয়া মো. রুবেল (২৫) ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আশার বাড়ির বেল্লাল মিয়ার ছেলে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে পশ্চিম চরমনসা গ্রামের রিয়ার বিয়ে হয়।
নিহতের পরিবারের বরাতে ওসি মোন্নাফ বলেন, বিয়ের পর থেকেই দুইজনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সোমবার রুবেল তার বাড়িতেই ছিল। রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন আসে, তখন স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রুবেল শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়।
তবে মঙ্গলবার ভোরে ওই বাড়ির লোকজন গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
তবে নিহতের শ্বাশুড়ি পারভিন বেগমসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এদিকে রুবেলের বোন নয়ন আক্তারের দাবি, রুবেলকে তার স্ত্রীর পছন্দ হয়নি। এতে বিয়ের পর থেকেই তাদের বিরোধ চলছিল। সোমবার রাতে মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে তাকে পরিবকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়েছেন।
তবে নিহতের স্ত্রী রিয়া আক্তার বলেন, “আমার সঙ্গে রুবেলের কোনো ঝগড়া হয়নি। তিনি আমাদের ঘরেও আসেননি। আমাদেরকে ফাঁসাতেই বাড়ির সামনে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।”
ওসি আবদুল মোন্নাফ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তদন্ত করে এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।