অলিম্পিয়াকোসের জালে গোল উৎসব করতে পেরে যেন আত্ববিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বার্সেলোনা।
সংগৃহিত
টানা দুই ম্যাচে হেরে বার্সেলোনার আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে যাওয়ার ঘটনাটা এখন দূরের অতীত বলেই মনে হচ্ছে। আর এই কৃতিত্বের অনেকটা দেওয়া যায় ফের্মিন লোপেসকে। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে দলকে বিশাল জয় এনে দেওয়ার পর তার কণ্ঠেও এখন তৃপ্তির ছোঁয়া।
চলতি মাসের প্রথম দিনে ইউরোপ সেরার মঞ্চেই পিএসজির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা। তিন দিন পর লা লিগাতেও তেতো স্বাদ পায় তারা, সেভিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে হারে আরও বড় ব্যবধানে, ৪-১ গোলে।
মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় আগামী রোববার রেয়াল মাদ্রিদের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে লড়াইয়ের সপ্তাহ তিনেক আগে জোড়া হারের ধাক্কা, স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসে চোট লাগার কথা।
ফের্মিন লোপেসের কথায় বোঝা যাচ্ছে, বেশ জোর ধাক্কাই খেয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। তাইতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিতে পেরে খুব খুশি তিনি ও তার সতীর্থরা।
“রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শনিবারের (রোববার) ক্লাসিকোর আগে এমন একটা জয় আমাদের দরকার ছিল।”
“বার্সেলোনার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করলাম, যেন একটা স্বপ্ন পূরণ হলো।”
ওই দুই পরাজয়ের পর গত শনিবারই অবশ্য জয়ের পথে ফিরেছে বার্সেলোনা; লা লিগায় জিরোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে।
অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে দলকে চালকের আসনে বসান লোপেস। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে এল কাবির সফল স্পট কিকে নাটকীয়তার আভাস দেয় গ্রিক ক্লাবটি। তবে চার মিনিট পরই দলটির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার সান্তিয়াগো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে লড়াই পুরোপুরি একপেশে হয়ে পড়ে।
১০ জনের দল নিয়ে এরপর আর বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে আটকাতে পারেনি অলিম্পিয়াকোস।
লামিনে ইয়ামালের সফল স্পট কিকে কিছুক্ষণ পরই আবার দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এরপর জোড়া গোল করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড এবং তার দুই গোলের মাঝে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লোপেস।
