কমপ্লিট শাটডাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও দুই উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, গোপন শাখা ও জনসংযোগ দপ্তরে চলছে কার্যক্রম।
হতে সংগৃহিত
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্যকোটা) বহাল ও শিক্ষক লাঞ্চনার বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা৷
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে সকাল ১০টা থেকে সকল কার্যক্রম স্থগিত রেখে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের পূর্বঘোষিত অনুযায়ী আজকের এই কর্মসূচি। আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
তবে শাটডাউনের বিষয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠকটি চলছিল।
বৈঠকে অফিসার সমিতি নেতাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাঈন।
বৈঠকের আগে অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন স্যার আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডেকেছেন। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।”
এদিকে কমপ্লিট শাটডাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর মাঝেও অফিস চলছে। দুই উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, গোপন শাখা ও জনসংযোগ দপ্তরে চলছে কার্যক্রম।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, “শিক্ষক কর্মকর্তাদের কর্মসূচি প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সোমবারও আমি এসেছিলাম কিন্তু কেউ অফিস খোলেনি। বাধ্য হয়ে আমাকে ফিরে যেতে হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকাতে কয়েকজন এসে তালা খুলে দেয়।”
তিনি বলেন, “তারা স্বেচ্ছায়ই অফিসে এসেছে। আমি তাদের কিছুই বলিনি কারণ তারা স্বাধীন। তারা তাদের দাবিতে আন্দোলন করতেই পারে।”
এর আগে ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের প্রতিবাদে শনিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনের মুখে এদিন রাতেই পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে প্রশাসন এবং রোববার সিন্ডিকেটের সভায়ও তা স্থগিত রাখা হয়।
এরপর শিক্ষক লাঞ্চিতের বিচার এবং পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রোববার রাতে অফিসার্স সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
টানা এই শাটডাউনের মধ্যে “ভোটার অনুপস্থিতি’র কারণ দেখিয়ে সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর ভোট ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।