পানি ও চালের অনুপাত ঠিক করাটাই আসল বিষয়।
বিস্তারিত কমেন্টে
ভাত রান্না করার সবচেয়ে সোজা হয় যদি ব্যবহার করা যায় রাইস কুকার।
আর যাদের ভাত ছাড়া চলেই না তাদের অন্তত কষ্ট করে হলেও এই যন্ত্র ঘরে রাখা উচিত।
এমনই মন্তব্য করেন মার্কিন শেফ এরিক হুয়াং।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ভাত রান্নার এই যন্ত্রের দারুণ এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ভেতরের পাত্রটি পানির ফুটে ওঠার মাত্রার ওপরে যেতে দেয় না। যখন ভেতরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রে ধরা পড়ে যে, পানির ফুটন্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে তখন যন্ত্র বুঝে যায় এর ভেতরের সব তরল হয় টেনে গেছে বা উবে গেছে।”
আর এভাবেই ভাত রান্নাটা সঠিকভাবে হয় এই যন্ত্রে।
তবে এই রাইস কুকার দিয়ে ভাত রান্নার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন, ‘নিউ ইয়র্ক’স পিকিং হাউজ’য়ের এই প্রতিষ্ঠাতা।
যেভাবে রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে হয়
প্রায় সব রাইস কুকার-ই এক। তারপরও নির্দেশিকা পড়ে নেওয়া উচিত। আর অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যেগুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হল-
চাল ধোয়া: প্রয়োজন মতো চাল নিয়ে বড় বাটিতে ভালো মতো পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যতক্ষণ না চাল ধোয়ার পানি পরিষ্কার না দেখা যাচ্ছে ততক্ষণ ধুতে হবে।
রাইস কুকারে চাল ঢালা: ধোয়া চাল রাইস কুকারের ঢালতে হবে।
পানি যোগ করা: পরিমাণ মতো পানি দেওয়ার ওপরেই নির্ভর করে ঝরঝরে ভাত। এজন্য ছোট চালের ক্ষেত্রে ১:১ পরিমাণ এবং বড় চালের ক্ষেত্রে ১:২ পরিমাণ পানি যোগ করতে হবে। সাথে এক চিমটি লবণ যোগ করা যেতে পারে।
রান্না করা: এরপর সুইচ দিয়ে রাইস কুকার চালু করে দিতে হবে। ভাত হয়ে গেলে সাধারণত সব রাইস কুকারের সুইচ আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায়। তবে রান্না হয়ে গেলেও সাথে সাথে ঢাকনা খোলা যাবে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
হুয়াং বলেন, “অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিতে পারি, রান্নার পর আরও ১৫ মিনিট রাইস কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন। এতে ভালো মতো ভাত বসবে।”
আরও কিছু বিষয়
- চোখের আন্দাজে চাল ও পানির পরিমাণ মাপা উচিত হবে না। ঝরঝলে তুলতুলে ভাত রান্নার জন্য সব সময় সঠিক মাপের কাপ বা পাত্র ব্যবহার করতে হবে।
- সব সময় চাল ধুয়ে নিতে হবে ভালো করে। এতে ভাত আঠালো ও জটলা বাঁধার সম্ভাবনা কমবে।
- সুগন্ধ তৈরি জন্য রাইস কুকারে পানি দেওয়ার পর জিরা, তেজপাতা, দারুচিনির টুকরা কিংবা রসুন, মরিচের গুঁড়া বা শুকনা মাশুরুম যোগ করলে ভাতে আলাদা সুগন্ধ পাওয়া যাবে।
