২০২২ সালের ১৯ অগাস্ট রাতে ঘুমন্ত মাকে হত্যার পর বসতঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখা হয় বলে জানান পিপি।
সংগৃহিত
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মাকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আফতাব উদ্দিন।
দণ্ড পাওয়া জামিল মিয়া (২২) উপজেলার ছিট নাজিরদহ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলার বরাতে পিপি আফতাব উদ্দিন বলেন, স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে কলহের জেরে ২০২২ সালের ১৯ অগাস্ট রাতে ঘুমন্ত মায়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন জামিল। পরে বসতঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখা হয়।
পরদিন সকাল থেকে জামিলার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। পরে ২৪ অগাস্ট সন্ধ্যায় এলাকাবাসী জামিলার ঘরে গিয়ে মেঝের মাটি উঁচু দেখতে পেয়ে জামিলকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জামিল মাকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মাটি খুঁড়ে জামিলার লাশ উদ্ধার এবং জামিলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানান পিপি আফতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জামিলার ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জামিলকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, “আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ছেলের হাতে মাকে খুনের ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের উদাহরণ। আমরা চাই, সমাজে এমন ঘটনা আর না ঘটুক।”
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
