সংশোধন অনলাইনে বা নিবন্ধকের অফিসে গিয়ে করা যায়।
সংগৃহিত
জন্ম নিবন্ধন সনদে ভুল তথ্য থাকলে তা সংশোধন করা জরুরি। এটি স্কুল ভর্তি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরি, এমনকি উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন।
অনলাইনে এবং স্থানীয় নিবন্ধক অফিসে (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন) গিয়ে এই কাজ করা যায়। সর্বোচ্চ তিনবার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন কীভাবে করবেন তা বিস্তারিত জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২৯ ওয়ার্ড সচিব মো. ইফতেখারুল ইসলাম।
ওয়েবসাইটে যাওয়া
জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করার জন্য অনলাইন https://bdris.gov.bd/br/correction ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে হয়।
পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে হলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে-
- যদি পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকে, তাহলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করে তাদের নাম সংশোধন করে আসতে হবে।
- এরপর যদি নিজের জন্ম নিবন্ধন করার সময় পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তবে তাদের নাম সংশোধন করার পর নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
- আর যদি নিজের জন্ম নিবন্ধন করার সময় পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, তবে নিজের জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সঙ্গে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করতে হবে।
- পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করার পর নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
- যদি পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং নিজের জন্ম তারিখ ১.১.২০০১ এর আগে হয়, তবে নিজের জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন।
- এক্ষেত্রে পিতা/মাতা মৃত হলেও তাদের মৃত্যুর কোনো প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না।
- যদি পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে এবং তারা মৃত হয় এবং নিজের জন্ম তারিখ ১.১.২০০১ এর পরে হয়, তবে নিজের জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন করার সময় পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন।
- এক্ষেত্রে আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড সংশোধনের জন্য প্রমাণপত্র লাগবে।
যেগুলো স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে
- মূল জন্ম নিবন্ধন সনদ। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র। শিক্ষাগত সনদ (এসএসসি/এইচএসসি), পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- জন্ম তারিখ বা নাম সংশোধনের জন্য হাসপাতালের কাগজ, ভ্যাকসিন কার্ড, বা অ্যাফিডেভিট। ঠিকানা সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ বিল বা ভোটার আইডি।
- যদি পিতা-মাতা মৃত হন এবং জন্ম তারিখ ১.১.২০০১ এর পরে হয়, তবে মৃত্যুর প্রমাণপত্র লাগবে।
আবেদনপত্র প্রিন্ট ও ফি জমা ফর্ম পূরণের পর প্রিভিউ দেখে সাবমিট করুন। আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন।
সরকার নির্ধারিত ফি (৫০-২০০ টাকা, সংশোধনের ধরন ভেদে) বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক চালানে জমা দিন। চালানের কপি সংরক্ষণ করুন।
প্রিন্ট করা আবেদনপত্র, মূল কাগজপত্র এবং চালানের কপি নিয়ে স্থানীয় নিবন্ধক অফিসে (যেমন- ঢাকা উত্তর বা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড অফিস) জমা দিন। নিবন্ধক তথ্য যাচাই করে অনুমোদন দেবেন।
অনুমোদন ও সনদ সংগ্রহ যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধিত সনদ অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে বা অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত সাত থেকে ১৫ দিন লাগে।
