যুক্তরাষ্ট্রে বারে গুলিতে নিহত ৪, সন্দেহভাজনের খোঁজে চিরুনি অভিযান

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্যে একটি বারে গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এক সন্দেহভাজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে অ্যানাকোন্ডা শহরের আউল বারে এ গুলির ঘটনা ঘটে বলে মন্টানার অপরাধ তদন্ত বিভাগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ) জানিয়েছে, তারা অ্যানাকোন্ডার একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মাঠে নেমেছে।

অ্যানাকোন্ডা একসময় তামা গলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল। দক্ষিণপশ্চিম মন্টানার এ শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার, এটি মন্টানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বোজম্যানের ১৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

সন্দেহভাজনের নাম মাইকেল পল ব্রাউন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বলেছে অ্যানাকোন্ডা-ডিয়ার লজ কাউন্টি আইনপ্রয়োগকারী কেন্দ্র।

“সন্দেহভাজন এ ব্যক্তি সশস্ত্র ও বিপজ্জনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

“তাকে দেখলে কাছে যাওয়ার দরকার নেই। মাইকেল পল ব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উপায় থাকলে ৯১১ তে জানান,” বলেছে তারা।

কর্মকর্তারা অ্যানাকোন্ডার বাসিন্দাদেরকে তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

অ্যানাকোন্ডোর কাছাকাছি গ্রেনাইট কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছে, “বন্দুকধারী টাই ডাই শার্ট, নীল জিন্স ও একটি কমলা ব্যান্ডানা পরেছে বলে জানানো হয়েছে।”

বন্দুকধারীর অ্যানাকোন্ডার বাড়িতে সোয়াট সদস্যদের তল্লাশি অভিযান চালানোরও খবর দিয়েছেন তিনি।

সন্দেহভাজন পল ব্রাউন বারের কাছেই থাকতেন, তার বয়স ৪৫ এবং এক সময় তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা।

মন্টানার গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যক্রমের ওপর নিবিড় নজর রাখছেন।

মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন এবং তদন্তে সহায়তা করছেন।

মন্টানার সেনেটর স্টিভ ডেইনস স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশি ড্রোনের সাহায্যে ‘চিরুনি অভিযান’ চলছে।

অ্যানাকোন্ডার তামাশ্রমিকদের কাছে মদ বেচতে ১৮৯৩ সালে আউল বার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে ১৯৮৭ সালে খবরের কাগজ মন্টানা স্ট্যান্ডার্ডের এক নিবন্ধে বলা হয়েছিল। এটি অ্যানাকোন্ডার গুজটাউন এলাকায় অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিদিনই ‘ম্যাস শুটিংয়ের’ খবর পাওয়া যায়। মন্টানার বারের ঘটনাটি নিয়ে চলতি বছর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫৬টি ‘ম্যাস শুটিং’ হয়েছে বলে জানিয়েছে গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ।

অলাভজনক এ সংস্থা সেসব ঘটনাকেই ‘ম্যাস শুটিং’ হিসেবে ধরে, যেগুলোতে বন্দুকধারী বাদেই অন্তত চারজন বা এর বেশি আহত বা নিহত হয়।