জাতীয় দলে একসঙ্গে খেললেও ক্লাব ফুটবলেও একই দলে খেলার স্বপ্ন ছিল রদ্রিগো দে পলের, তার মায়ামিতে আসার প্রক্রিয়ায় প্রবলভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন লিওনেল মেসি।
Published : 02 Aug 2025, 12:49 PM
জাতীয় দলে দুজন একসঙ্গেই খেলেন। দুজনের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতাও ফুটবল বিশ্বের অনেকেরই জানা। কিন্তু এতটুকুতে মন ভরেনি রদ্রিগো দে পলের। তার হৃদয়ে তেষ্টা ছিল ক্লাব ফুটবলেও লিওনেল মেসির সঙ্গী হওয়ার। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে ইন্টার মায়ামিতে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জানালেন, এই দলবদলের প্রক্রিয়ায় গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন স্বয়ং মেসিও।
আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে সম্প্রতি ধারে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন দে পল। আপাতত চুক্তি ছোট্ট সময়ের জন্য, স্রেফ বছরের বাকি সময়টায় তিনি থাকবেন মেজর লিগ সকারের ক্লাবটিতে। তবে চুক্তি অনুযায়ী সুযোগ আছে পরবর্তীতে চার বছরের পাকাপাকি চুক্তির।
তেমন কিছু হবে কি না, তা বলবে সময়। আপাতত স্বপ্ন পূরণ করতে পারার আনন্দে ভাসছেন, ইএসপিএনকে বললেন দে পল।
“যখনই লিওর সঙ্গে কথা হতো, আমাদের স্বপ্ন ছিল একসঙ্গে খেলার। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে আমরা যা করেছি, তা ক্লাব ফুটবলে বয়ে আনার। সেই স্বপ্নই এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তারা জানত যে আতলেতিকো মাদ্রিদে আমার চুক্তির স্রেফ এক বছর বাকি আছে এবং হোর্হে মাস (ইন্টার মায়ামির স্বত্বাধিকারীদের একজন) মাদ্রিদে এসেছিলেন।”
“আতলেতিকোর মালিকপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মাসের। যখন আলোচনা শুরু হলো এবং বাস্তবে রূপ পাওয়া পথে এগোলো, তখনই আমরা কথা বলছিলাম লিওর সঙ্গে খেলা, প্রতিটি দিন মাঠে , ড্রেসিং রুমে তার সঙ্গে থাকার সেই স্বপ্ন নিয়ে।”
৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জানালেন, মায়ামিতে যোগ দেওয়ার গোটা প্রক্রিয়া গুরুত্ব দিয়ে দেখভাল করেছেন তার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

“আলোচনায় গভীরভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার মহত্ব তার (মেসি) ছিল, বিশেষ করে সে নিশ্চিত করতে চেয়েছে, আমি যেন এমন অবস্থানে থাকি যে সবকিছু খুব ভালোভবে হচ্ছে। সে খুবই মনোযোগী ছিল গোটা প্রক্রিয়ায়।”
“যখন সব চূড়ান্ত হলো, তার কাছ থেকে ফোনকল পেলাম। মায়ামিতে যখন এলাম, পরদিন সকালেই লিও ক্লাবে আসে আমার খোঁজখবর নিতে, আমার কী লাগবে, কেমন আছি, এসব জানতে। এটাই বন্ধুত্ব। দারুণ তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত ছিল সেটি।”
এমনিতে ইন্টার মায়ামির আবহ সম্পর্কে খুব ধারণা ছিল না দে পলের। তবে এটুকু জানতেন, মেসি যেখানে আছে, সেই ক্লাবের লক্ষ্য শিরোপা জয় ছাড়া অন্য কিছু নয়।
“লিওকে যারা চেনেন, সবাই জানেন, সে যেখানেই যাবে, জয়ের তাড়নাই তার থাকবে। সে সবসময়ই জয়ের জন্য লড়তে চায় এবং তার ক্লাব ও জাতীয় দলের জন্য মূল নিয়ামক হতে চায়। কাজেই আমি জানতাম যে কোথায় যাচ্ছি এবং আমার বর্তমান পরিস্থিতি ও বয়স অনুযায়ী আমার কাছে কী চাওয়া ক্লাবের।”
“ক্লাবের ড্রেসিং রুম আমাকে চমকে দিয়েছে, উচ্ছ্বসিত করেছে। মানসম্পন সব ফুটবলার আছে এখানে, কজনকে আমি চিনি, কজনকে চিনতাম না। তবে যেভাবে সবাই পরিশ্রম করে, যে একাগ্রতা, তাদের নিবেদন, এসবেই ফুটে ওঠে ক্লাবের চাওয়া। ক্লাবটি বেড়ে উঠছে এবং বড় একটি জায়গা হয়ে উঠছে। সেটির জন্য ট্রফি জিততে হবে।”