“বিয়ারিং প্যাড তার উপরে পড়লে সে স্পট ডেড হয়,” বলছেন তেজগাঁও থানার ওসি।
সংগৃহিত
ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকের এ ঘটনার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, “ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনের নিচে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় উপর থেকে বিয়ারিং প্যাড তার উপরে পড়লে সে স্পট ডেড হয়।”
নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম, গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেট্রোরেলের লাইনের গার্ডারের জয়েন্টের একটা বিয়ারিং খুলে নিচে পড়ে গেছে। একজন নাকি মারা গেছে; স্পটেই মারা গেছেন বলে শুনেছি।
“এ কারণে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। আমি স্পটে যাচ্ছি, সেখানে গিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।”
কম্পন প্রতিরোধের জন্য সেতু বা উড়াল সেতুতে ইলাস্টোমোরিক বিয়ারিং প্যাড বসানো থাকে। এ প্যাড নিওপ্রেন বা প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরি, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়। কোনোটির ভেতরে কয়েক পরতে থাকে স্টিলের কাঠামো, আর উপরে থাকে রাবার। এগুলো ওজনে অনেক ভারী হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি পড়ে একজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ফুটপাতে একটি চায়ের দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়; ওই শব্দে পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠে। আমরা মনে করেছিলাম কোনো গাড়ির চাকা ফেটেছে হয়তো।
“পরে দেখি, একটা লোক রাস্তায় পড়ে আছে। কালো একটা ভারী বস্তু তার মাথায় পড়েছে। মাথার একপাশ থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।”
তেজগাঁও থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বর্তমানে মেট্রো চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
মরদেহ উদ্ধার করে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফার্মগেট ও বিজয় সরণির একটি অংশে মেট্রো লাইনের ভায়াডাক্টের চারটি স্প্রিং থেকে একটি স্প্রিং সরে যায়।
