হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় শনিবার মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে এক নারী পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সংগৃহিত
মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির মধ্যে টেকনাফের হোয়াইক্যাং এলাকার একটি বসতঘরের টিনের চালে গুলি এসে আঘাত করেছে।
রবিবার সকালে এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছেন বলে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন।
তবে আগের দিন শনিবার মিয়ানমারের দিক থেকে আসা গুলিতে হোয়াইক্যাং এলাকার এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
আর এদিন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের ঘরের টিনের চালে এসে গুলিটি আঘাত করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি বলেন, সকালে মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান তারা। কিছুক্ষণ পর দেখেন ঘরের টিনের চালে আওয়াজ হচ্ছে। বাইরে গিয়ে দেখি টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়ালের ভেতরে গুলি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে ঘরে লাগছে, এতে আমরা আতঙ্কিত।”
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, “আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে শুনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি। সীমান্তে মাঝেমধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।”
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। রবিবার সকালে সেই গুলির কিছু হোয়াইক্যংয়ের আমতলী এলাকার একটি বসতবাড়িতে পড়ে।
“গুলি টিন ছিদ্র করে ঘরে প্রবেশ করলেও সৌভাগ্যক্রমে ঘরে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এসব ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেন এবং প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার সকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে ছেনুয়ারা বেগম নামে এক নারী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। একই সময় একটি গুলি কাছের একটি কম্পিউটার দোকানেও গিয়ে পড়ে।
