সিন্ডিকেট ও অনিয়মের অভিযোগে ২০২৪ সালের জুন থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সীমিত রাখে মালয়েশিয়া।
সংগৃহিত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পুরোদমে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।
বুধবার বিকেলে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের হলরুমে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
হাই কমিশনার বলেন, “মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে মন্তব্য করার পর্যাপ্ত সময় হয়নি। এ ধরনের বিষয়ে ভুল তথ্য দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আমাদের মালয়েশিয়ান সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তাই শ্রমবাজার সংক্রান্ত সংবাদ যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন। সাংবাদিকেরা সহজেই প্রবাসীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন। এতে দূতাবাস ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমাধানের পথও তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিত।”
প্রবাসী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান করে হাই কমিশনার বলেন, “অনেক সময় সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্যের ঘাটতি থাকে। তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কথাই বেশি শোনেন, ফলে বিভ্রান্ত হন।”
অনিয়মিত প্রবাসীদের বৈধতার বিষয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বৈধতা দেওয়ার বিষয় সম্পূর্ণ মালয়েশিয়ার সরকারের অধীনে।”
সভায় ডেপুটি হাই কমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিন্ডিকেট ও অনিয়মের অভিযোগে ২০২৪ সালের জুন থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সীমিত রাখে মালয়েশিয়া। তবে চলতি অক্টোবর নাগাদ মালয়েশিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা ‘যোগ্য’ বাংলাদেশি নিয়োগ এজেন্সিগুলোকে পুরোদমে সুযোগ দেবে।
