মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
সংগৃহিত
নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মেঘনা নদীর তীরজুড়ে দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে ভাঙন কবলিত চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
সমাবেশে সুবর্ণচর উপজেলার হাজী মোশারফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রোমানা আক্তার বলেন, “গত এক যুগ ধরে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় অসংখ্য বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
“ভিটেবাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন পার করছে। এর জেরে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায়ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে। এলাকায় সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।”
এ পরিস্থিতিতে নদীতে ড্রেজিং, ব্লক নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ ফেলাসহ ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলার অনেক এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে শঙ্কা জানান তিনি।
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মোবারক করিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “বিগত সময়ে নদী ভাঙন রোধের নামে লোক দেখানো কাজে সরকারি অর্থের অপচয় হলেও সুফল পায়নি মেঘনা তীরের মানুষ। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।”
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- প্রভাষক আজাদ হোসেন আনসারী, চানন্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা এমকে বেলাল হোসেন, বোরহান শিকদার, আলাউদ্দিন, হুমায়ুন কবির, আবু্ল কালাম, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার লোপা, একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. সামাদ উদ্দিন চাঁদ মিয়া।
এছাড়া মেঘনার ভাঙনের কবল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি, বাড়িঘর রক্ষার দাবিতে নানা রকম শ্লোগান দেন শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী নারী পুরুষরা।
