চিলতানে অভিযানে নিহত হয়েছে ১৪ সন্ত্রাসী, কেচ জেলার বুলেদাতে আরও চারজন, বলেছে আইএসপিআর।
সংগৃহিত
বেলুচিস্তানে দুটি পৃথক অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট শাখা।
এক বিবৃতিতে ওই শাখা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বলেছে, যে জঙ্গিদের মারা হয়েছে তারা ভারতের প্রক্সি, ‘হিন্দুস্তানি অশান্তি সৃষ্টিকারী’।
বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীদের এখন ইসলামাবাদ এ তকমা দিচ্ছে, এর মাধ্যমে তারা পাকিস্তানজুড়ে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসের পেছনে ভারতের কথিত ভূমিকাকে সামনে আনার চেষ্টা করছে, বলছে ডন।
সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে কোয়েটা জেলার চিলতান পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়, বলছে পাকিস্তানের আইএসপিআর।
“অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাদের তুমুল গুলি বিনিময় হয়, তাতে ১৪ ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে,” বলেছে তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেচ জেলার বুলেদাতেও সন্ত্রাসীদের এক আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৪ জঙ্গিকে ‘সফলভাবে নিস্ক্রিয়’ করা হয়েছে, বলা হয়েছে আইএসপিআরের বিবৃতিতে।
“নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিহতরা অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল,” বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
আইএসপিআর বলেছে, বিদেশি সহায়তাপ্রাপ্ত বিশেষ করে ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের পুরোপুরি নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাকিস্তানজুড়ে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করেই এসব হামলা হচ্ছে। ২০২২ সালে নিষিদ্ধঘোষিত তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সরকারের অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে এ ধরনের হামলা বেড়েছে।
আগেরদিনই আইএসপিআর খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররম জেলার দোগারে এক অভিযান চলাকালে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ক্যাপ্টেনসহ ৬ পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। ওই অভিযানে ৭ জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।
