“কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে,” বলেন তিনি।
সংগৃহিত
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে চার দেশের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা আসবেন। তারা তদন্ত করে এর কারণ ও দায় নির্ধারণে সহায়তা করবেন।”
শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেযে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা বলেন।
গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে লাগা আগুন ওইদিন রাত ৯টায় নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে পুরোপুরি নেভাতে লেগে যায় ২৭ ঘণ্টা। ওই অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইএবি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ব্যর্থ হয়নি দাবি করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তারা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে।”
তিনি বলেন, “কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে গার্মেন্টস পণ্য বেশি ছিল এবং কিছু কেমিক্যালও ছিল।
“আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাছাড়া অনেক সময় বাতাসের কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে। ওই দিন রাত ৯টায় পুনরায় ফ্লাইট ওঠা-নামা চালু করা সম্ভব হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্টের ফি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
