এ উদ্যোগ পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কিছু দেশের কাতারে নিয়ে আসবে, যারা ডিজিটাল সম্পদ খাত নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করেছে।
হতে সংগৃহিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্রিপ্টো সম্পদ বিল পাস করল পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
সোমবার দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ এমপি বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ডিজিটাল সম্পদ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল পাশ করেছে তার দেশের আইনপ্রণেতারা। এ নতুন আইনের মাধ্যমে উদীয়মান এই খাতে স্পষ্ট ও শক্তিশালী নিয়মাবলী প্রতিষ্ঠা করে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করবে কেনিয়া।
দেশটির পার্লামেন্টের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান কুরিয়া কিমানি বলেছেন, গত সপ্তাহে ‘ভার্চুয়াল অ্যাসেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স’ নামের একটি বিল পাশ করেছেন কেনিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যরা। এ বিলের মাধ্যমে খাতে স্পষ্ট নিয়মের অভাব থেকে জন্ম নেওয়া বিভিন্ন উদ্বেগ ঠেকাতে চাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেছেন, এ উদ্যোগ পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কিছু দেশের কাতারে নিয়ে আসবে, যারা ডিজিটাল সম্পদ খাত নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করেছে। এখন কেবল কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোকে এই বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করতে হবে।
এ বিল অনুসারে, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকই হবে স্টেবলকয়েন ও অন্যান্য ভার্চুয়াল সম্পদ ইস্যু করার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, যারা ক্রিপ্টো মুদ্রার লেনদেনের জন্য এক্সচেঞ্জ বা ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালাতে চায় তাদের লাইসেন্স দেবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
রয়টার্স লিখেছে, সরকারের এ পদক্ষেপ এসেছে সময়ে এল যখন বিভিন্ন দেশ মার্কিন ডলার সমর্থিত স্টেবলকয়েনের ব্যাপক বেড়ে যাওয়া প্রত্যাশা করছে।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের স্টেবলকয়েনের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মুদ্রার দাম কমে যেতে পারে। ফলে তাদের অর্থনীতিও দুর্বল হতে পারে।
কিমানি বলেছেন, এ আইনে স্পষ্ট নিয়ম থাকার কারণে আর্থিক প্রযুক্তি খাত ‘ফিনটেক’-এ বেশি বিনিয়োগ আসবে, বিশেষ করে বাইন্যান্স ও কয়েনবেইসের মতো বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি কেনিয়াতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। এজন্য আগে থেকেই এসব কোম্পানি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
“আমরা আশা করছি, ক্রিপ্টোমুদ্রায় আফ্রিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক প্রবেশদ্বার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে কেনিয়া। দেশের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অধিকাংশ তরুণ এখন ভার্চুয়াল সম্পদ ব্যবহার করে লেনদেন করছে ও বিনিয়োগ বা ব্যবসার সুযোগ হিসেবে এগুলোকে গ্রহণ করছে।”