“আমাদের যে আস্থা আর সমন্বয়য়ের সংকট তা কাটিয়ে উঠতে হবে।’’
হতে সংগৃহিত
বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনের দায়িত্বে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
রোববার সকালে সিলেট নগরীর মিরের ময়দান এলাকায় পুলিশ লাইন্সে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ‘পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। অনেক কিছুই মিডিয়াতে আসছে, এগুলো আমাদের নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।
“ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবে না।”
নির্বাচনকে নিরপেক্ষ রাখতে প্রশাসন, পুলিশ ও মাঠ কর্মকর্তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত করবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসি বলেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। তাই পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যেম রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।
“আমরা নির্বাচন করাকে কোনো চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন করতে চাই।’’
এছাড়া সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ না থাকায় এসসিপিকে ওই প্রতীক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের বিধিমালায় থাকা প্রতীক থেকে, একটা প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাহিরে কোনো কাজ কমিশন করতে পারে না।
“সুতরাং আইন ও বিধি অনুয়ায়ী আমাদের তালিকায় যে প্রতীক রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে যে প্রতীকটা চাচ্ছেন সেটি না থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন পারছে না।”
এ সময় পুলিশের উদ্দেশ্য নি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এককভাবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না, আমাদের কোনো কলঙ্ক নেই।
“বিগত সময়ের দাগ সব বিভাগেই আছে। আমাদের যে আস্থা আর সমন্বয়য়ের সংকট তা কাটিয়ে উঠতে হবে।’’
