তবে নিজেদের শক্তি বাড়ানো ইউরোপের সফলতম দলটি আসন্ন মৌসুমে কেমন করে, তা দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার।
Published : 01 Aug 2025, 07:18 PM
নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রীতি ম্যাচগুলোতে যেন উড়ছেন গাভি। এক ম্যাচে অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও পরেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। চোটের জন্য গতবার অনেকটা সময় বাইরে থাকা তরুণ মিডফিল্ডার প্রস্তুত নতুন মৌসুমের জন্য। প্রস্তত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়াল মাদ্রিদকে সামলাতেও। বাজে মৌসুমের পর নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে ইউরোপের সফলতম দলটি। তবে গাভির বিশ্বাস, গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতায় বার্সেলোনাকে নিয়ে এবার উদ্বিগ্ন থাকবে রেয়াল।
গত মৌসুমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চারবার রেয়ালের মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। চার ম্যাচেই জয় পায় কাতালান ক্লাবটি। দুই দলের লড়াইয়ের সুদীর্ঘ ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বার এক মৌসুমে রেয়ালের বিপক্ষে চার জয়ের মধুর অভিজ্ঞতা হয় তাদের।
প্রাক মৌসুম সফরে এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে বার্সেলোনা। সেখানেই একটি হোটেলে স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকা এএস-এর মুখোমুখি হন গাভি। কথা বলেন আসন্ন মৌসুমে রেয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লড়াইসহ অনেক বিষয়ে।
“অবশ্যই তারা আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে। চার ম্যাচের চারটিতে জয়, যা এর আগে কখনও হয়নি (১৯৮২-৮৩ মৌসুমে রেয়ালের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতেছিল বার্সেলোনা, অন্য ম্যাচটি হয়েছিল ড্র)। তারা চিন্তিত থাকবে, আর এটা বোধগম্য।”
“গত মৌসুমে আমরা ছিলাম দুর্দান্ত, আর ওরা কিছুই জিততে পারেনি। সত্যি বলতে, এই বছর ওরা খুব ভালো কিছু খেলোয়াড় নিয়ে শক্তি বাড়িয়েছে। দেখা যাক, ওরা এই মৌসুমে কেমন করে। ওদের দল দারুণ, তবে আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে, এটাই আসল।”
সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা সতীর্থদের নিয়েও কথা বললেন গাভি। জানালেন, মার্কোস র্যাশফোর্ডকে পেয়ে খুশি তারা। বললেন বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি পাওয়া লামিনে ইয়ামালের কথাও।
“আশা করি, এবার সে ব্যালন দ’র জিতবে। যদি এই বছর নাও জিততে পারে, তার বয়স কেবল ১৮, সে এখনও খুবই তরুণ, এই বয়সে ফেভারিটদের মধ্যে থাকাও অসাধারণ ব্যাপার। আমাদের দলে সে যা করছে, এর জন্য আমি খুশি।”
“সে অবিশ্বাস্য একজন খেলোয়াড়। প্রতিদিন সে আরও উন্নতি করছে। অনুশীলনে সে দুর্দান্ত। তাকে এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে, ঠিক এই মানসিকতা নিয়ে। আমি নিশ্চিত, যদি সে এভাবে এগিয়ে যায় তাহলে এই বছর ব্যালন দ’র জিততে না পারলেও ভবিষ্যতে অনেকগুলো জিতবে।”
এসিএল চোটে ১১ মাস বাইরে থাকার পর গত মৌসুমে ফিরে সেরা সময়ের কিছু ঝলক দেখিয়েছেন গাভি। তবে শুরুর একাদশে জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি। দারুণ সব মিডফিল্ডারে ঠাসা বার্সেলোনায় কাজটা সহজও নয়। তিন মিডফিল্ডারের একজন হতে লড়াই এখন তীব্র। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন গাভি।
“আমি দিন দিন আরও ভালো অনুভব করছি। গত মৌসুমের শেষ দিকে আমি খুব ভালো ছন্দে ছিলাম এবং আশা করি, এই মৌসুমে আমি দলকে সেরাটা দিতে পারব। এটাই আমি চাই।”
“বিশ্বের সেরা কয়েকজন মিডফিল্ডার আমাদের দলে আছে। আমি কয়েকটি পজিশনে খেলতে পারি, এটাই আমার সামর্থ্যে প্রমাণ দেয়। আমি পরিপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। এখানে প্রতিযোগিতা ভীষণ কঠিন, খুব ভালো কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। কোচ ঠিক করবেন, কে খেলবে। তবে এটা ঠিক যে, শুরুর একাদশে থাকা খুব কঠিন হবে, কারণ এখানে মান খুব উঁচু।”
বার্সেলোনার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা গাভির স্বপ্ন, একদিন প্রিয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। আশায় আছেন, একদিন ঠিকই দলের অধিনায়ক হবেন তিনি।
“আমি সবসময়ই বার্সেলোনা অধিনায়কের আর্মব্যন্ড পরার স্বপ্ন দেখেছি। এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। এটা পরলেই আমি অবিশ্বাস্য অনুপ্রেরণা অনুভব করি। এটা আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে। এই মৌসুমে আমি যদি অধিনায়কদের একজন না হই, সেটা স্বাভাবিক ঘটনাই হবে। যদিও আমি অনেক বছর ধরে এই দলে আছি, তবে আমি এখনও তরুণ এবং অভিজ্ঞদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”