এ বছর পাসের হার ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গতবছর ছিল, ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
হতে সংগৃহিত
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বোর্ডের সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন বরিশাল বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী।
বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ১৬৭ জন শিক্ষার্থী।
পাসের হার কমার কারণ হিসেবে বোর্ড চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। ওই সকল বৈঠকে দেশের শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেখানে সব পাবলিক পরীক্ষা কঠোরভাবে নিতে, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে করতে এবং খাতা সঠিকভাবে মুল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
“সেই অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি অতি মুল্যায়ন ও অবমুল্যায়ন যেন না হয়। যতটুকু লিখেছে ততটুকু নম্বর দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। যার কারণে পাসের হার একটু কম হয়েছে। তবে অন্যান্য বোর্ডের পাসের হার অনুযায়ী বরিশাল বোর্ডে ফল নিয়ে সন্তুষ্ট।”
এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৫৯ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৮৩৭ জন ছাত্র ও ৩১ হাজার ৪০২ জন ছাত্রী। পাস করেছে ৩৭ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৪ হাজার ৬৪২ জন ও ছাত্রী ২২ হাজার ৪২৪ জন।
বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল জেলা। পাসের হার সবচেয়ে কম বরগুনা জেলায়। বরিশাল জেলার পাশের হার ৬৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর বরগুনা জেলার পাশের হার ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিভাগের অন্য জেলার মধ্যে পিরোজপুর জেলার পাশের হার ৬৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ভোলা জেলার এ হার ৬২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ঝালকাঠি জেলার পাশের হার ৫৮ দশমিক ৬৪ ও পটুয়াখালী জেলার পাশের হার ৫৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার সব থেকে বেশি। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অবস্থান। জিপিএ-৫ এর দিক থেকেও সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৮০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ৭৭৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৯১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ফলাফল জিপিএ-৫ এর দিক থেকেও এবারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছর এই বিভাগের পাসের হার সর্বোচ্চ ৭১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগের ৮০৬ জন জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
অপরদিকে মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬০ দশমিক ২১ শকাংশ এবং এ বিভাগ থেকে মোট ৭৭৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন।
এ বছর ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি; শতভাগ পাশ করেছে দুটি প্রতিষ্ঠানে। কেউ পাশ না করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরগুনার একটি, ভোলার চারটি, বরিশালের তিনটি, ঝালকাঠির দুটি ও পটুয়াখালীর দুটি কলেজে রয়েছে।
বোর্ড চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, “যে সকল প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি, তাদের প্রধানদের ডাকা হবে। তারা যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারে, তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করার সুপারিশ করা হবে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন ছাড় নয়।”
