“ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী আমাদের জাহাজে উঠেছে এবং আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
হতে সংগৃহিত
ফ্রিডম ফ্লোটিলার অংশ হিসেবে গাজার পথে থাকা কনশানস জাহাজটির দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যে জাহাজে আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী আমাদের জাহাজে উঠেছে এবং আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইসরায়েল যে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, সে কথা তুলে ধরে সকল কমরেড ও বন্ধুদের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে শহিদুল আলম জানিয়েছিলেন, তাদের জাহাজ বুধবার ভোর নাগাদ ‘রেড জোন’ এ পৌঁছাতে পারে।
এর আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের ৪০টির বেশি ত্রাণবাহী নৌযান ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ইসরায়েলি সেনারা সেগুলো দখল করে নেয় এবং জাহাজগুলোতে থাকা চার শতাধিক অধিকারকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।
এরপর আরও ১১টি জাহাজের আরেকটি নৌবহর ১ অক্টোবর গাজা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে, যার আয়োজক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)।
এ বহরের ‘কনশানস’ নামের জাহাজটিতে দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ২৫ দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারত্বের অবসান এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবিতে তারা গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার পর ফ্রিডম ফ্লোটিলা লাইভ ট্র্যাকারে মিশর উপকূলের কাছে ‘কনশানস’ জাহাজটির অবস্থান দেখানো হয় লাল বিন্দু দিয়ে। এর মানে হল, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, ওই বহরের মোট নয়টি জাহাজ এখন ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
