বাংলাদেশে শামীমের স্ত্রী ও এক শিশুকন্যা রয়েছে।
সংগৃহিত
পর্তুগালের সেতুবাল জেলার আলমাদা পৌরসভার কোস্টা দা কাপারিকা এলাকায় ছিনতাইয়ের জেরে এক বাংলাদেশি প্রবাসী ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
নিহতের নাম মোহাম্মদ শামীম (৩১), বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানায়। তিনি পর্তুগালে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম ‘সিএম জর্নাল’, ‘সাপো’ ও ‘নোটিসিয়াস ও মিনুতো’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাতে রুয়া দো জুনকাল নামে এক সড়কে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
‘গার্ডা ন্যাসিওনাল রিপাবলিকানা’ (জিএনআর) পুলিশের তথ্যমতে, শামীম প্রতিদিন নিজের সাইকেলে করে কর্মস্থলে যেতেন এবং দোকানের সামনে সেটি রেখে কাজ করতেন।
ওইদিন রাতেও তিনি আগের মতো সাইকেলটি দোকানের সামনে রাখেন। এসময় এক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি সেটি চুরি করার চেষ্টা করে।
শামীম ঘটনাটি টের পেয়ে চোরকে থামাতে গেলে ওই ব্যক্তি সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে বুকে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শামীমের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে ছিনতাই বা হাতাহাতির ঘটনা, দুটি সম্ভাবনাই তদন্তাধীন। শামীমের শরীরে সাতটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল বুকে।
পুলিশ জানায়, রাতেই ঘটনার খবর পেয়ে জিএনআর সদস্যরা সেখানে পৌঁছান এবং পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব সেটুবাল জেলার পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা পোলিসিয়া জুদিসিয়ারিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম কোরেইও দা মানহা জানিয়েছে, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছালেও লাশ সরাতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে, কারণ তখন জরুরি সেবার কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঘটনাস্থলে জিএনআর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবী ফায়ার সার্ভিস ‘বোমবেইরোস ভলুনতারিওস দি কাসিলাস’।
স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, বাংলাদেশে শামীমের স্ত্রী ও এক শিশুকন্যা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কোস্টা দা কাপারিকা ও সেতুবাল জেলায় বাংলাদেশিদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। তারা প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
