রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ৮০ টনের বেশি ইলিশ বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা ভাঙ্গার মাছ ব্যবসায়ী উসমান মাতব্বর ও মজা মাতব্বরের।
হতে সংগ্রহিত
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শুরুর রাতেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভায় ইলিশ মাছের মেলা বসেছে। কিছুটা কম দামে মাছ কিনতে মেলায় ঢল নামে ক্রেতার।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ভাঙ্গা পৌরসভার হাসামদিয়া ফ্লাইওভারের ইলিশ মাছের এই বেচা-কেনা চলেছে।
এতে ৮০ টনের বেশি ইলিশ বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ভাঙার মাছ ব্যবসায়ী উসমান মাতব্বর ও মজা মাতব্বর।
শনিবার সকালে তারা বলেন, জেলে-খুচরা বিক্রেতাসহ অস্থায়ীভাবে এই মেলা বসায় কী পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না। তবে অন্তত ৮০ টনের মত মাছ বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া দাম কম থাকায় ছোট সাইজের মাছের চাহিদাই বেশি ছিল বলে জানান তারা।
শুক্রবার রাতে কথা হয় এই মেলায় মাছ কিনতে আসা আব্দুল মান্নান, দিলীপ দাস, রহমান শেখ সোহার সঙ্গে।
তারা বলেন, ইলিশ মাছের মেলাটি বছরে একবারই মিলে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে রাতভর বিক্রি হয় শুধু রূপালী ইলিশ। তাই ভাঙ্গাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এসে ভীড় জমিয়েছেন মেলায়।

আব্দুল মান্নান বলেন, “মাছের ক্রেতা-বিক্রেতা বেশি হলেও মাছের আমদানি কম ছিল। তবুও দাম বাড়ে নাই। দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই আছে।”
কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে খুশির কথা জানিয়ে দিলীপ দাস বলেন, “মাছ কম কিন্তু ক্রেতা বেশি। তারপরও বাজারের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কম দামে রুপালী ইলিশ কিনতে পেরেছি।”
মেলায় ইলিশ বিক্রেতা নারাণ দত্ত, হারান সাহা, জাকির হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছ কম, কিন্তু দাম আগের মতই, বেশি না।
তারা জানান, এ মেলায় ১ কেজি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে। ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৮০০-১০০০ টাকা করে এবং ২৫০ গ্রাম সাইজেরগুলো ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রধান প্রজনন মৌসুম এগিয়ে এনে এবার ৪ অক্টোবর মানে রোববার থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদী ও বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়, বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
তাই শনিবার রাতেই মজুত করা মাছসহ নদী ও সাগরে শিকার করা ইলিশ বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।