“তার মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।”
হতে সংগৃহীত
নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব খান সরকার।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য অবস্থান করছিলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার ওপর বিএনপির ‘একপক্ষের’ সমর্থকরা এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত পাঁচ জন।
স্থানীয়রা বলছে, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটেছে।

উভয় পক্ষের সঙ্গে ‘আওয়ামী লীগের’ কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ইদন মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য আহতরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই হাসপাতাল কম্পাউন্ডে অবস্থান করছিলেন আইয়ুব খানসহ অন্য সংবাদকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ‘কাইউয়ুমকে জড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে যমুনা টিভির নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব খানের ওপর হামলা করেন তারা।
এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আইয়ুবের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে অন্যান্য সংবাদিক ও উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালের ভেতরে তিনি আশ্রয় নেন বলে জানা গেছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবির বলেন, “ঘটনার পরে আইয়ুব খানকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
“তার মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় ইনজুরির কারণে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
আহত সাংবাদিক আইয়ুব খানের ভাষ্য, “কাইউয়ুমের লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাইউয়ুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।