অতিরিক্ত পানির চাপে ড্রেন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় শহরের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
Published : 20 Aug 2025
পাকিস্তানের বৃহত্তম নগরী করাচি মঙ্গলবার নজিরবিহীন ভারি বৃষ্টিতে অচল হয়ে পড়ে, বহু এলাকা তলিয়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে দেয়াল ধসে ও বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে করাচিবাসী অসহায় ও হতাশবোধ করছে বলে দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি করাচির ভঙ্গুর অবকাঠামোর ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত পানির চাপে ড্রেন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় পুরো শহরের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে।
নগরীর অভিজাত এলাকা ডিফেন্স হাউজিং কর্তৃপক্ষ এবং ক্লিফটনের ঘরবাড়িও তলিয়ে যায়। এতে এসব এলাকার বাসিন্দারাও চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত গুলশান-ই-হাদীদ এলাকায় সবচেয়ে বেশি, ১৭০ মিলিমিটার (৬ দশমিক ৬৯ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সবচেয়ে কম ৬৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ওরাঙ্গি টাউন এলাকায়।
করাচির প্রধান সড়কগুলোতে শত শত গাড়ি ও মোটরসাইকেল তলিয়ে যায়। যানজটে পুরো শহর স্থবির হয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ গাড়িগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে থাকেন। নগরীর ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে নাজুক এ পরিস্থিতিতে বহু মানুষ গাড়ি রেখে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করেন, এতে বিশৃঙ্খলা আরও বেড়ে যায়।
বাড়িতে ফিরতে থাকা লোকজন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন, বিশেষ করে নারীরা। অনেকেই কোমর সমান পানি ভেঙে এগিয়ে যেতে বাধ্য হন। চরম অসহনীয় পরিস্থিতিতে কারও কারও বাড়ি ফিরতে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।
ভারি বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নগরীর বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ে।
বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি ও দেয়াল ধসে, অপর একজন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যহত হয়। পাকিস্তান অ্যাভিয়েশন অথরিটি (পিএএ) জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, কিছু ফ্লাইটে বিলম্ব ঘটেছে আর অবতরণের কথা থাকা কয়েকটি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতির তীব্রতা বিবেচনায় সিন্ধু প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বুধবার করাচিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
আবহাওয়া দপ্তরের মুখপাত্র আঞ্জুম নিয়াজ জানিয়েছেন, আগের রেকর্ড না ভাঙলেও ‘নজিরবিহীন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে’।
তিনি বলেন, “ভারতের গুজরাট এলাকার ওপর সৃষ্ট একটি লঘু চাপের প্রভাবে করাচিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি জানান, ভারতের ওডিশা থেকে আরেকটি নিম্নচাপ গুজরাটের দিকে এগিয়ে আসছে, এর প্র