“স্বাধীনতার সময় যাদের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল তারা আজকে পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচাল চেষ্টা করছে।”
হতে সংগৃহিত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘অংশ নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন’ বলে জানিয়েছেন আমান উল্লাহ আমান।
সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য কথা বলছিলেন।
আমান বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন ২৬ সালের ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে…এই নির্বাচন ইনশাল্লাহ হবেই।
“এই নির্বাচনে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং নির্বাচনের প্রচারণায় তিনিই থাকবেন, তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।”
এর আগে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন। আর ভোটের সময় তিনি দেশেই থাকবেন বলে আশা করছেন।
তার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয়েছিল, নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না?
তারেক রহমান উত্তরে বলেন, “রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব?
“আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে- সেই প্রত্যাশিত, যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।”
ফ্যাসিস্ট সরকার পতন আন্দোলনে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎবাণী ‘সত্য হয়েছে’ মন্তব্য করে আমান বলেন, “আপনারা দেখবেন যে, তারেক রহমান যে কথাগুলি বলেছিলেন সেই কথাগুলি সত্য হয়েছে। যেমন, দুই একটা উদাহরণ দেব আমি। তিনি বলেছিলেন, দেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে। ফয়সালা কিন্তু রাজপথেই হয়েছে।”
নির্বাচন ‘বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে’
কোনো দলের নাম না নিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, “আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি দল ষড়যন্ত্র করছে চক্রান্ত করছে। স্বাধীনতার সময় যাদের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল তারা আজকে পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচাল চেষ্টা করছে।
“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।”
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (পিআর) চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দল এর প্রবল বিরোধিতা করে বর্তমান পদ্ধতিতে সরাসরি ভোট চাইছে।
আমান বলেন, “আজকে বিভিন্ন জায়গায় নির্বা্চন নিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ বক্তব্য রেখে বিশেষ করে বিএনপিকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“আপনারা দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন দেখেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী, এরশাদবিরোধী আন্দোলন দেখেছেন জিয়া পরিবার সবচেয়ে দুর্যোগে-দুর্বিপাকে-দুঃসময়ে জনগণের পাশে ছিল জিয়া পরিবার, জনগণের পাশে ছিলো বিএনপি।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডেমোক্র্যাটিক লীগের উদ্যোগে দলটির প্রয়াত নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিশেষ করে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাইফুদ্দিন মনির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন আমান উল্লাহ আমান।
দলের সহ সভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, গ্লোভাল বাংলাদেশীজ এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটের আহ্বায়ক ও অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন বক্তব্য রাখেন।
