“এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন।”
হতে সংগৃহিত
ভারতের ত্রিপুরায় চোর সন্দেহে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ‘তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা’ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন।”
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় গরু চোর সন্দেহে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা বৃহস্পতিবার জানায় বিজিবি। এদিন সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার কেদারাঘাট সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার বাসুল্লা গ্রামের পণ্ডিত মিয়া, কবিলাসপুর গ্রামের সজল মিয়া এবং আলীনগর গ্রামের জুয়েল মিয়া।
বিজিবি-৫৫ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকালের দিকে তিনজন একসঙ্গে বিড়ির পাতা সংগ্রহের জন্য পাহাড়ে যান। এক পর্যায়ে তারা ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই এলাকার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় প্রবেশ করেন।
তিনি বলেন, “এলাকাটি ভারতের বিএসএফ-৭০ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন। পরে চোর সন্দেহে সেখানকার লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি ও তীর মেরে হত্যা করে।”
বুধবার এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়। পরে পরিবার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত বাহিনীর তা নজরে আসে।
নিহত পণ্ডিত মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার বলেন, “আমি ফেইসবুকে দেখে জানতে পেরেছি। তিনি বিড়ির পাতা আনার জন্য পাহাড়ে ওঠেছিলেন। কীভাবে ভারতে গেলেন বুঝতে পারছি না। আমার স্বামীসহ তিনজনকে তীর মেরে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিজিবি লাশ উদ্ধার করেছে। পরে আমাদেরকে বুঝিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে।”
দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “এই নিন্দনীয় ঘটনায় জোরালো উদ্বেগ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার; এবং এই ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং এমন মানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে আন্তরিক পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। অপরাধীদের অবশ্যই চিহ্নিত এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
‘অসাবধানতাবশত’ তাদের চলে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে, জাতীয়তা নির্বিশেষে সব ব্যক্তিরই মানবাধিকার সুরক্ষা দিতে হবে, এক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত সীমান্তের যে প্রান্তেই তারা চলে যাক না কেন।”
