তার অর্জিত সব সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি, বলছে দুদক।
হতে সংগৃহিত
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের তিন ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৯১ টাকা জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, তাপসের তিন ব্যাংক হিসাবের মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২২৪১ টাকা এবং প্রাইম ব্যাংকে ৭৬৪৯ টাকা রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদ সদস্য ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসাধু উপায়ে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজান ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদ দখল করেন। তার নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা এবং ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ ডলারের ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেন হয়েছে। তার অর্জিত সব সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদের তথ্য মিলেছে, সেসবের হস্তান্তর বা স্থানান্তর ঠেকাতে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রবল আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ফজলে নূর তাপসের ফুফু। সরকার পতনের পর তাপসকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি আগেই বিদেশে চলে গেছেন বলে আলোচনা আছে।
তাপস ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে সাংসদ হন। পরে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হন।