এসব মিছিল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সংগৃহিত
কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বের করা এসব মিছিল থেকে ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের মধ্যে ছজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তর পূর্ব থানা, দুজনকে উত্তরা পশ্চিম থানা, ২৪ জনকে গুলশান থানা, চারজনকে খিলক্ষেত থানা, তিনজনকে ক্যান্টনমেন্ট থানা, ছয়জনকে ধানমন্ডি থানা, ছয়জনকে নিউ মার্কেট থানা, তিনজনকে শাহবাগ থানা, আটজনকে মোহাম্মদপুর থানা, একজনকে হাতিরঝিল থানা, ছয়জনকে পল্টন থানা, ৪০ জনকে মতিঝিল থানা ও ডিবি-ওয়ারীর হাতে ২২ জন ধরা পড়েছেন।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের ঝটিকা মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের করেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের উল্টপাশ থেকে মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আলমগীর জাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল কুড়িলের দিক থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের দিকে আসে। তখন পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করে।
“এছাড়া একই মিছিল থেকে খিলক্ষেত থানাও চারজনকে আটক করে। মাঝখানে ডিভাইডার থাকায় ওই পার্শ্বের পুলিশ চারজনকে আটক করে।”
শনির আখরা এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিল করে।
যাত্রাবাড়ী এলাকার একজন বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হঠাৎ দেখি মেইন রোডে কয়েকশ আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল করছে। তারা ডেমরা রাস্তা ধরে যাত্রাবাড়ীর দিকে অগ্রসর হয়েছে।”
মিছিল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ারীর জয়কালি মন্দির এলাকাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করেন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, “এই মিছিলে কারা ছিল, আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, মিছিল থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।”
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের কর্নার থেকে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী মিছিল বের করে।
জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, “মিছিলের বিষয়ে আমি পরে কথা বলব।”
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, “সোয়া ১১টার দিকে ভূমি ভবনের দক্ষিণ দিক দিয়ে একটি মিছিল হয়েছে, আমরা কাউকে আটক করতে পারিনি। তবে আমাদের টিম তাদের আটক করতে মাঠে কাজ করছে।”
তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার এক পথচারী বলেন, “আওয়ামী লীগের কয়েকশ লোকজন মিছিল নিয়ে সাতরাস্তার দিকে আসতে থাকে, সে সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।”
রাজধানীর বাটা সিগন্যাল মোড়ে সকাল ১১টার দিকে মিছিলের সময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগের জনা বিশেক কর্মী মিছিল বের করে। মিছিলটি ওই সড়কের শেষ মাথায় রবীন্দ্র সরণিতে পৌঁছালে একদল লোক ধাওয়া দেয়। তখন মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ঢাকার আগারগাঁও এলাকার বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
রমনার মৎস্য ভবন এলাকায় কয়েকশত নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া মতিঝিলের দিলকুশাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
