অগাস্টের এই ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন।
বাংলাদেশে গত একদিনে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৮ জন রোগী। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ১৮৩ জন।
এ সময় আক্রান্তদের মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু হল ১০১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য দেয়।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হন না। এ কারণে দেশে ঠিক কত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সেই তথ্য জানা যায় না।
বাংলাদেশে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০২৩ সালে।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ১৪০৫ জন এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির একজন চট্টগ্রাম বিভাগ এবং দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। এ ছাড়া জুন মাসে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
অগাস্টের প্রথম ১০ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি, ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ ছাড়া জুন মাসে ৫৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ১০ অগাস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়েছেন ৩২০৩ জন রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগে।
এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮০ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে আট জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮১ জন, খুলনা বিভাগে ৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, রংপুর বিভাগে সাত জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন রোগী ভর্তি হয়েছেন
ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩৭৪ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৮৯ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৫ জন।