মশাবাহিত এ রোগ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৫৬৩ জন।
সংগৃহীত
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ নিয়ে চলতি বছর এইডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে ১২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৩ জন। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৫০১ জনে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে, এক জন ঢাকার বেসরকারি মডার্ন হাসপাতালে এবং আরেকজন গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের একজনের বয়স ৪৮ বছর, একজনের ৪৫ এবং আরেকজন ৩২ বছর বয়সী।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। এছাড়া অগাস্টে ৩৯ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন ও মে মাসে তিন জন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন জুলাই মাসে। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৫ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের ১৩৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার।
সিটি করপোরেশনের বাইরে ঢাকা বিভাগে ৭৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৮ জন, রংপুর বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে ১১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে দুজন রোগী ভর্তি হন।
ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৫৬৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২২ জন; আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৪১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
সংগৃহীত