আইফোন ব্যবহারকারীরা যাতে সহজেই সামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার খুঁজে পান সেজন্য ইভি মালিকরা এখন রিয়াল-টাইম ব্যাটারি তথ্য অ্যাপল ম্যাপের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবেন।
সংগৃহিত
এবার আইফোন ব্যবহার করে অ্যাপল ম্যাপস-এ রুট প্ল্যান করতে পারবেন টয়োটা’র নতুন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বা ইভি মালিকরা, যাতে চার্জিং স্টপসহ নানা তথ্য ফোনের স্ক্রিনেই দেখা যাবে।
গাড়ি চালানোর পথে ব্যাটারির চার্জ কমে গেলে কোথায় চার্জ করতে হবে তা অ্যাপল ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখাবে এবং চালকরা ‘কারপ্লে’-এর মাধ্যমে ম্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের রুট পরিকল্পনা করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
টয়োটা নিশ্চিত করেছে, আইফোন ব্যবহারকারীরা যাতে সহজেই সামঞ্জস্যপূর্ণ চার্জার খুঁজে পান সেজন্য ২০২৩ ও পরবর্তী বছরের সব ইলেকট্রিক গাড়ির মালিকরা এখন রিয়াল-টাইম ব্যাটারি তথ্য অ্যাপল ম্যাপের সঙ্গে যোগ করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ সুবিধা মূলত ‘বিজেড৪এক্স’ মডেলের ইভির জন্য প্রযোজ্য, যা এখন নতুন ‘বিজেড’ মডেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে জাপানি এই গাড়ি নির্মাতা।
চালক গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় ইভির ব্যাটারিতে কত চার্জ থাকবে ও কতক্ষণ চার্জ করতে হবে তা হিসাব করবে অ্যাপল ম্যাপ। এ সময় ব্যাটারির কর্মসক্ষমতা ও রাস্তায় উচু-নিচু বা ঢালের পরিবর্তনের বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেবে অ্যাপটি।
‘কারপ্লে’ হচ্ছে অ্যাপলের গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, যা ম্যাপ, মিউজিক, ক্যালেন্ডার, সিরি এবং আরও অনেক ফিচার ব্যবহারের সুবিধা দেয়। বর্তমানে আটশরও বেশি গাড়ির সঙ্গে কাজ করছে ‘কারপ্লে’।
তবে ইভির জন্য চার্জিং স্টপ দেখাতে হলে ‘কারপ্লে’কে জানতে হবে গাড়ির ব্যাটারিতে কত চার্জ রয়েছে। ফলে অ্যাপলের সঙ্গে কাজ করে এ তথ্য গাড়ির মালিকদের শেয়ার করবে টয়োটা।
এসব ফিচারের প্রচলন এখনও সীমিত পর্যায়ে রয়েছে এবং এ ঘোষণার আগে কেবল ‘ফোর্ড মাস্ট্যাং ম্যাক-ই’, ‘এফ-১৫০ লাইটনিং’ ও ‘পোর্শে টেকান’ নামের গাড়িই এ প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
টয়োটা বলেছে, ২০২৬ সালের ‘বিজেড’ মডেলের গাড়ি টেসলার সুপারচার্জার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে, যার মাধ্যমে নতুন মডেলের জন্য ২৫ হাজারের বেশি চার্জিং স্টেশন খোলা হবে।
‘বিজেড’ মডেলটি ‘এনএসিএস’ চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করবে, যা প্রথমে টেসলা তৈরি করেছিল এবং পরে পুরো শিল্পের জন্য উন্মুক্ত করা দিয়েছে ইলন মাস্কের কোম্পানিটি।