পোস্টারে জিরোজিরোসেভেনের হাতে থাকা ওয়ালথার পিপি মুছে দেওয়া হয়।
হতে সংগৃহিত
ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট জেমস বন্ডের হাতের তার আগ্নেয়াস্ত্র না থাকলে কেমন হবে, তার একটি আভাস দিয়েছে প্রাইম ইউকে।
কদিন আগে প্রাইম ভিডিও ইউকে তাদের ওয়েবসাইটে জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির কয়েকটি সিনেমার পোস্টার প্রকাশ করে।
তবে প্রকাশের পরই তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। কারণ সব পোস্টারে জিরোজিরোসেভেনের হাতে থাকা ওয়ালথার পিপি মুছে দেওয়া হয়। তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষের পর পোস্টারগুলো সরিয়ে নিয়েছে প্রাইম ভিডিও।
ভ্যারাইটি লিখেছে, বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘ডক্টর নো’ ও ‘গোল্ডেন আই’ সিনেমার পোস্টারে জেমস বন্ডের হাতে থাকা ওয়ালথার পিপি সম্পাদনা করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এছাড়া ‘আ ভিউ টু আ কিল’ সিনেমার পোস্টারেও এই সম্পাদনা হয়েছে। ওই সিনেমার রজার মুরের হাতে থাকা অস্ত্রও রাখা হয়েছে ফ্রেমের বাইরে।
সম্পাদিত ছবিগুলো নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশাল মিডিয়ায়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মানুষ। বেশিরভাগের মানুষের বক্তব্য হল, জিরোজিরোসেভেনের সঙ্গে যা ঘটতে চলেছে, এই ঘটনা তারই একটি সতর্কতা। কারণ পুরো ব্যাপারটি অ্যামাজনের হাতে।
কেউ কেউ বলেছেন এই ঘটনা হয়ত প্রাইম ভিডিওর ‘কমপ্লায়েন্স বিভাগের’ কোনো ভুল সিদ্ধান্ত।
প্রতিক্রিয়া এসেছে লেখক স্কট ম্যাকক্রি একের কাছ থেকেও।
পোস্টার থেকে জেমস বন্ডের আগ্নেয়াস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তিনি বর্ণনা করেছেন ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ।’
তবে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো মন্তব্য করেনি।
রসিকতা করে ব্রিটিশ অভিনেতা রুফাস জোন্স সোশাল মিডিয়ায় বলেছেন, “অ্যামাজন বন্ডের পোস্টার থেকে পিস্তল সরিয়ে দিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, শন কনেরি আর পিয়ার্স ব্রসনান কেউই খুশি নন।”
ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট জেমস বন্ডের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল ইয়ন ফিল্মস। বন্ড কে হবেন, তার চলাফেরা থেকে শুরু করে অস্ত্র তাক করার স্টাইল কেমন হবে সব ঠিক করতেন ইয়নের স্বত্বাধিকারী মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি।
চলতি বছরে অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিও ও ইয়ন ফিল্মসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তির ফলে সিনেমার নতুন পর্ব কবে আসবে, আগামী বন্ড কে হবেন, অন্যান্য অভিনয়শিল্পী কারা হচ্ছেন-সব কিছুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার এখন অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিওর হাতে।
১৯৬২ সালে শন কনারি অভিনীত জেমস বন্ডয়ের প্রথম সিনেমা ‘ড. নো’ দিয়ে ব্রিটিশ গুপ্তচরকে প্রথম পর্দায় আনা হয়। আর ২০০৬ সালে ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ দিয়ে শুরু করে গত ১৫ বছরে অত্যন্ত ব্যবসাসফল পাঁচটি জেমস বন্ড সিনেমায় অভিনয় করে ২০২১ সালে ব্রিটিশ স্পই চরিত্রটিকে বিদায় জানান ড্যানিয়েল ক্রেইগ। ২০২১ সালের শেষের দিকে ‘নো টাইম টু ডাই’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তার বন্ড অধ্যায় শেষ হয়।
জেমস বন্ডের নতুন সিনেমা হবে এই সিরিজের ২৬তম সিনেমা।
২০২২ সাল থেকে নতুন বন্ড খুঁজতে আঁটঘাট বেঁধে নামেন উইলসন ও ব্রোকলি, যদিও তার কোনো ফলাফল আসেনি।
তবে নতুন বন্ডের কারিগরের নাম আসে কদিন আগে। আগামী ‘বন্ড’ সিনেমা পরিচালনা করবেন প্রখ্যাত কানাডিয়ান পরিচালক ডেনিস ভিলেনিউভ।
