গেল ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও তা গঠন হয়েছে বুধবার।
সংগৃহিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের জন্য ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের নির্দেশনায়, ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫”- এর ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।”
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেলেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোস্তফা হাসান। বাকি চার সদস্য হলেন-আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক্কানিজ ফাতেমা কাকলী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জুলফিকার মাহমুদ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংকৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান।
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গেল ৭ অক্টোবর মোস্তফা হাসানকে আহ্বায়ক এবং আনিসুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের জকসু নির্বাচন প্রস্তুত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই কমিটির সদস্যদের দিয়েই ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠন করেছে তারা।
আগামী ২৭ নভেম্বর ভোটের তারিখ রেখে গেল মাসে ১৭ তারিখ জকসু নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও তা গঠন হয়েছে বুধবার।
জকসুর কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নীতিমালা ও আচরণ বিধি প্রনয়ন, তফসিল ঘোষণা, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ভোটার তালিকা সংশোধন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়ন জমা দান, মনোনয়ন বাছাই, মনোনয়নে আপত্তি (যদি থাকে) নিষ্পত্তিকরণ, চূড়ান্তপ্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রার্থীদের প্রচার–এসব নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তারাই নির্ধারণ করবে।
জগন্নাথ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পাওয়ার আগে কলেজ থাকাকালে মোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে।
তার মধ্যে সর্বপ্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে। সবশেষ ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন মো. আলমগীর সিকদার লোটন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর সিকদার জোটন।
২০০৫ সালে কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’ এ ছাত্র সংসদ সম্পর্কিত কোনো ধারা না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর একবারও জকসু নির্বাচন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহুবার নির্বাচন দাবি করলেও ‘আইনি জটিলতার’ কারণে তা আয়োজন করা যায়নি।
