ত্রিদেশীয় সিরিজে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ছয় স্পিনার খেলাচ্ছে আফগানিস্তান, ভালো পারফর্ম করছেন তারা সবাই।
সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সোমবার তিন উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন শারাফউদ্দিন আশরাফ। পরদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশেই রাখা হলো না বাঁহাতি এই স্পিনারকে। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে ভূমিকা রাখলেন নুর আহমাদ। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে এভাবেই স্পিনারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরখ করে দেখছে আফগানিস্তান দল। আফগানদের স্পিন শক্তির গভীরতা তাতে ফুটে উঠছে দারুণভাবে।
শারজাহতে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ১৮ রানের জয়ে যথারিত উজ্জ্বল ছিলেন স্পিনাররা। রাশিদ খান, মোহাম্মাদ নাবি ও নুর আহমাদ মিলে শিকার করেন ছয় উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে কেবল এএম গাজানফার উইকেট পাননি।
এই ত্রিদেশীয় সিরিজ ও সামনের এশিয়া কাপের আফগানিস্তানের স্কোয়াডে স্পিনার আছে ছয়জন। তাদের মধ্যে নাবি ও আশরাফ অলরাউন্ডার। রাশিদের ব্যাটও এখন যতটা ধারাল, তাকেও অলরাউন্ডার তালিকায় রাখা যায়। দলের ভারসাম্য তাতে বজায় থাকছে চমৎকারভাবে। এশিয়া কাপের আগে ছয় স্পিনারকেই বাজিয়ে দেখছে আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট।
রাশিদ আর নাবি খেলছেন নিয়মিতই। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত আফগানদের তিন ম্যাচেই দেখা গেছে এই দুজনকে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সঙ্গে ছিলেন মুজিব উর রাহমান। তিন স্পিনারই সেদিন চমৎকার বোলিং উপহার দেন। আফগানরা যদিও হেরে যায় ম্যাচটি।
পরের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওই তিন জনের সঙ্গে যোগ হন আশরাফ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হন তিনি। রাশিদ-নাবি যথারীতি ছিলেন আপন রূপে। কেবল মুজিব সেদিন একটু বিবর্ণ ছিলেন।

সংগৃহীত
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে মঙ্গলবার আশরাফ-মুজিবকে বাইরে রেখে খেলানো হয় নুর ও গাজানফারকে। ওয়ানডেতে আলো ছড়ানো গাজানফার টি-টোয়েন্টি অভিষেকে নতুন বলে সেরা ছন্দে ছিলেন না। তবে নুর ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ঠিক একই বোলিং ফিগার ছিল নাবির। রাশিদের ২ উইকেট আসে ৩০ রান খরচায়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর আফগান অধিনায়ক রাশিদ বললেন, পরিকল্পনা থেকেই এই পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
“এটা বলতে পারেন এক ধরনের কৌশল। আমাদের সেই শক্তির গভীরতা আছে। মাঠে যে ১১ জন খেলছে, তাদের ব্যাপার শুধু এটি নয়। যাকেই সুযোগ দেওয়া হবে, সে কাজটা করতে পারে। প্রতিপক্ষের ধরন আর উইকেটের চরিত্র বুঝে আমরা ঠিক করছি কে কোন ম্যাচে কার্যকর হবে।”
“আজকে (মঙ্গলবার) আমাদের মনে হয়েছে, এই ম্যাচে নুর ও গাজানফার বেশি কার্যকর হবে। তারা যে লেংথে বল রেখেছে এবং যেভাবে পারফর্ম করেছে, আমরা বেশ সন্তুষ্ট।”
পরাজয়ের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাও কৃতিত্ব দিলেন আফগান স্পিনারদের।
“ওরা দারুণ মানসম্পন্ন স্পিনার। সামান্য সুযোগ দিলেও তা লুফে নেওয়ার মতো যথেষ্ট দারুণ ওরা। মাঝের ওভারগুলোয় যদি অত উইকেট না হারাতাম, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতো।”
প্রাথমিকপর্বে এই দুই দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে। অতি নাটকীয় কিছু না হলে ফাইনালেও দেখা হবে এই দুই দলের। আফগানদের স্পিনের ঝলকানি তাই দেখা যাবে আরও।
সংগৃহীত