টানা তিন হার দিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্ব শেষ করল মারিও গোমেসের দল।
সংগৃহিত
গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়ার সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায়, বসুন্ধরা কিংসের চাওয়া ছিল শেষটা অন্তত ভালো করার। কিন্তু আল-কুয়েতের বিপক্ষে শুরুটা তারা করল প্রথম মিনিটে গোল হজম করে। বিরতির আগে হজম করল আরও একটি। কুয়েতের চ্যাম্পিয়নদের কাছে হেরেই চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে ফিরল কিংস।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে কিংস। গ্রুপে টানা তিন ম্যাচই হারল মারিও গোমেসের দল।
আল-সাইবের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে পথচলা শুরু করা কিংস আল-আনসারের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হারে। দ্বিতীয় রাউন্ডে অন্য ম্যাচে আল-সাইব ও আল-কুয়েত ১-১ ড্র করলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় কিংসের।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের ধাপে গেছে আল-কুয়েত। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছে আল-আনসার। বিদায় নিলেও আল-সাইবের ঝুলিতে আছে ৩ পয়েন্ট। এই গ্রুপ থেকে একমাত্র কিংসই পারেনি পয়েন্টের খাতা খুলতে।
এদিন কিংস কোণঠাসা হয়ে পড়ে শুরুতেই। কিক অফের পর বল বলতে গেলে আল-কুয়েতের খেলোয়াড়দের পায়েই ছিল। কয়েক পা ঘুরে ডান দিক থেকে সামি আল সানেয়া ক্রস বাড়ান বক্সে। মেহেদী হাসান শ্রাবণের বদলে কিংসের পোস্টে ফেরা আনিসুর রহমান জিকো ক্লিযার করতে ব্যর্থ হলে ইউসুফ আল সুলেইমান হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সতীর্থের পাসে তাহা খেনিসসি নিখুঁত ফ্লিকে জিকো আবারও পরাস্ত হলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ।
পুরো ম্যাচে আটটি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আল-কুয়েত ব্যবধান বাড়ানোর চেয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখায় মনোযোগী ছিল বেশি। ভালোভাবেই সেই লক্ষ্য পূরণ করেছে দলটি।
