বেলা দেড়টা পর্যন্ত মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি চাকসুর নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
সংগৃহিত
ছোটোখাট অভিযোগ আর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
বুধবার সকালে ভোট শুরুর পর প্রথম চার ঘণ্টায় কোথাও বড় কোনো বাধা বিপত্তি ঘটেনি। ক্যাম্পাসের পাঁচটি ভবনে উৎসবের আমেজে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামী ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ‘বহিরাগত প্রবেশ’ নিয়ে উদ্বেগের কথা এসেছে। তবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ‘অমোচনীয় কালি’ মুছে যাওয়ার অভিযোগ।
প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদের ভোটগ্রহণ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ভোটগ্রহণের আলাদা ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সেই ভোট শুরু হয় দুই ঘণ্টা বিলম্বে।
৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে শিক্ষার্থীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। সকালে শাটল ট্রেন ও ভোটের জন্য দেয়া বিশেষ বাসে চড়ে নগরী থেকে ক্যাম্পাসে আসেন ছাত্রছাত্রীরা। সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীরা।
তবে ভোট শুরুর পরপরই ভোটারদের চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহৃত কালি ‘অমোচনীয় নয়’ বলে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে অভিযোগ করে ইসলামী ছাত্রশিবির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।
ভোট শুরুর পর জানা যায় আইটি ফ্যাকল্টিতে ব্যালট বক্সে স্বাক্ষর ছাড়া ১২টি ব্যালট পাওয়ার তথ্যও।
বেলা একটা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি চাকসুর নির্বাচন কমিশন।
সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই ক্যাম্পাস ছিল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখে উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার সাংবাদিকদের বলেন, “বহুল প্রতীক্ষিত এই চাকসু নির্বাচন। প্রায় তিন যুগ নির্বাচন হয়নি। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
“এটা জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরির এবং রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে।”
উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, “আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি।
“দ্বিতীয় হচ্ছে যে, সেখানে যে ওএমআর মেশিন; এখানে ওএমআর মেশিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আমরা রেখেছি। যার কারণে আমরা যেন খুব সুন্দরভাবে অল্প সময়ে ভোট গণনা করতে সেজন্য আমরা মাল্টিপল চেক সেটা আমরা করেছি সেজন্য।”
শতভাগ স্বচ্ছভাবে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণার জন্য ‘যৌক্তিক’ সময় যেটুকু লাগে সেসময় দিতে হবে মন্তব্য করে উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা ত্রুটিযুক্ত কাজ করতে চাই না। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে নিখুঁতভাবে কাজ শেষ করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু দিতে হবে।”
প্রথম ভোটের উচ্ছ্বাস
বহুল প্রতীক্ষিত চাকসু নির্বাচনে জীবনে প্রথমবারের মত ভোট দিতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ভুঁইয়া ও রুবেল গাজী থাকেন শাহ আমানত হলে। বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ভোট দেওয়া শেষে তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ভোটার হলেও ভোট দিতে যাননি। এবার প্রথম ভোট দিলেন নিজেদের নির্বাচনে। তারা খুব উচ্ছ্বসিত।
ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাজিদা তুজ শিমলি বলেন, “আগে স্কুলের কেবিনেটে ভোট দিয়েছি। বড় পরিসরে এই প্রথম ভোট দিলাম। পরিবেশটা খুব ভালো লাগছে। বেশি আনন্দ পেয়েছি প্রচার প্রচারণার সময়। আমরা চাই প্রতিবছর চাকসু নির্বাচন হোক।”
নৃবিজ্ঞান বিভাগের উমামা করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের ভোটার। তিনি বলেন, “জীবনের প্রথম ভোট করছি আমরা। আগে নির্বাচনে কখনো ভোট দিইনি। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের।”
আরবি ভাষা ও শিক্ষা বিভাগের ২১-২২ সেশনের শরিফুজ্জমান নাইম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে এই প্রথম ভোট দিচ্ছি। দারুণ লাগছে। খুবই এক্সাইটেড।
“এর আগে ভোটার হয়েও জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়েও স্বৈরাচার সরকারের কারণে ভোট দিতে পারিনি।”
বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ
চাকসু ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টার মাথায় ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগত’ প্রবেশের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
দুই ছাত্র সংগঠনের তরফে এ অভিযোগ করা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো ছাত্র সংগঠন বা প্যানেলের নাম বলা হয়নি।
শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “সকল প্রার্থী এবং ভোটার সবার কাছে আইডি কার্ড আছে। এর বাইরে নির্বাচন কমিশন সুযোগ দিয়েছে কোন প্রার্থী চাইলে তারা সেখানে পর্যবেক্ষক কিছু রাখতে পারবে। পর্যবেক্ষদেরও কার্ড আছে।
“আমরা লক্ষ্য করেছি, কোনো ধরনের কার্ড ছাড়া কিছু লোক যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না, আমরা স্পষ্ট চিনি তাদেরকে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা চাই কার্ড ছাড়া কেউ ঢুকে যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। আশা করি নির্বাচন কমিশন দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন বহিরাগত যেন প্রবেশ করতে না পারে। আমি ১০টায় এসেছি। কেবলমাত্র ভোট দিয়েছি। এখনো সার্বিক পরিস্থিতি আমার কাছে ক্লিয়ার না। তবে আমি বলতে চাই কোনোভাবেই বহিরাগত প্রবেশ যেন না হয়।
“আমাদের এই ২৩০০ একরে ভোটার এবং প্রার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোটের সার্বিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।”
ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, “গতকাল রাতেও সংবাদ সম্মেলনে আমরা বহিরাগতদের বিষয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, যার বৈধ পাস নেই সে যেই হোক, যত ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক বৈধ পাস ছাড়া যেন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসতে পারে।
“এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন। কোনো বহিরাগত আসলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “আমরা বহিরাগত বলব না। যারা ভোট পর্যবেক্ষণ করবে তাদের জন্য আমরা কিছু কার্ড দিয়েছি। বাকিরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যারা বৈধ কার্ডসহ ঢুকেছে।
“এখন এর বাইরে যদি কিছু হয়, আমাদের প্রদত্ত কার্ড ও আইডি কার্ড ছাড়া যদি কেউ থাকে, আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব। এখনো সেরকম কোনো আইডেনটিফাই করার মেসেজ আসেনি।”
দৃষ্টিহীনদের ভোটগ্রহণে ২ ঘণ্টা বিলম্ব
অন্যদের ভোট সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হলেও দৃষ্টিহীনদের ভোট শুরু হয়েছে বেলা সাড়ে ১১টার পর।
তাদের জন্য বিশেষায়িত ব্যালটের ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আবার কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীর নামে ভোট পড়ছে কি না তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিজয়-২৪ হল সংসদের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী আয়শা আকতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রথম থেকে ব্রেইল ভোটের কথা বলে আসছিলাম। প্রশাসন ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা করেনি।”
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা অনেক উচ্ছ্বাস নিয়ে ভোট দিতে আসছি। কিন্তু আমরা যে আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছি সেটার নিশ্চয়তা কী?”
আয়শা আকতার বলেন, “আমরা তো দেখতে পাই না। আমি বলব, আরেকজন লিখবে, সেটা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।”
মুছে যাচ্ছে ‘অমোচনীয়’ কালি
ভোট দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের যে অমোচনীয় কালি দেওয়া হচ্ছে, সেটি মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের এজিএস পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
বুধবার প্রকৌশল অনুষদ ভবনে ভোটদান শেষে তিনি বলেছেন, “প্রশাসন আরও ভালো কালির ব্যবস্থা করতে পারত। যেহেতু বাইরে সবাই ঘুরবে, কে ভোট দিয়েছে, কে না দিয়েছে- সেটা তো আর খাতা দেখে চিহ্নিত করা সম্ভব না।
“আমরা তাদের আঙুল দেখলে বুঝতে পারতাম। কিন্তু যেহেতু আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে, এটা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।”
দ্রোহ পর্ষদসহ আরো কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরাও ভোটারদের হাতে ব্যবহৃত কালি ‘মুছে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেছেন, ‘অনেক খুঁজেও’ ভোটে ব্যবহারের অমোচনীয় কালি ‘না মেলায়’ যে কালি পাওয়া গেছে, তাই ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাতে ভোটার পরিচয় নিশ্চিতকরণে ‘কোনো সমস্যা হবে না’ বলেও তিনি মনে করছেন।
“যে অমোচনীয় কালি উনারা (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন) ব্যবহার করেন সেটা প্রতি বছর নির্বাচনের আগে উনারা জার্মানি থেকে ইমপোর্ট করেন। এবং নির্বাচন শেষে বাকি অমচোনীয় কালি উনারা ডেসট্রয় করে দেন। এটা হল নির্বাচন প্রটোকল।
“সুতরাং এই কালি অন্য কোথাও পাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগরে একই সমস্যা হয়েছে। আমরাও অনেকটা দায়সারা গোছের একটা কালি দিয়েছি।”
মনির উদ্দিন বলেন, “আমরা আগে নিশ্চিত করেছি যে আমাদের ভোটারদের পরিচিতি হল তাদের আইডি নম্বর এবং ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা। পোলিং এজেন্টদের কর্তব্য যারাই ভোটকেন্দ্রে ঢুকবে তাদের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা দেখে নিশ্চিত করবে, হি ইজ দ্য জেনুইন ভোটার।
“তাই অমোচনীয় কালিটা এটা এখন আর আমাদের জন্য ম্যান্ডেটরি রইল না।”
ভোটগ্রহণ কতক্ষণ?
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “ধীর গতিতে হোক আর যাই হোক, ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রের চৌহদ্দিতে যদি ভোটার থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ভোট নিতে হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ভোটগ্রহল হবে।
৩০ মিনিট দেরিতে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এটা লেইট হয় নাই। অনেক জায়গাতে শুরু হয়েছে। কোনো কোনো জায়গাতে লেইট হয়েছে। আপনারা জানেন প্রস্তুতি, পরিবহনসহ অনেক কিছু আছে।”
| ভোট তথ্য |
| চাকসু নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬
এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩২৯ এবং ছাত্র ভোট ১৬ হাজার ১৮৭ |
| চাকসু ছাড়াও ১৪ টি হল ও একটি হোস্টেলে নির্বাচন হচ্ছে |
| প্রতিটি শিক্ষার্থী চাকসুতে (কেন্দ্রীয় সংসদে) ২৬টি এবং হল সংসদে ১৪টি ভোট দেবেন
তবে একটি হোস্টেলের নির্বাচনে ভোট দেবে ১০টি |
| এবারে চাকসুতে ভিপি, জিএসসহ মোট ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ প্রার্থী
এর মধ্যে পুরষ প্রার্থী ৩৪৮ জন এবং নারী প্রার্থী ৪৭ জন |
| ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের সংসদ নির্বাচনে ২০৬ পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন
নয় ছাত্র হলে মোট প্রার্থী ৩৫০ জন, পাঁচ ছাত্রী হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৩ জন |
ভোটগ্রহণ ও গণনা যেভাবে
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। বাইরে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে দেখানো হচ্ছে সেই ভিডিও।
চাকসুর মোট ব্যালট পেপার চার পৃষ্ঠার। হল ও হোস্টেল সংসদের ব্যালট পেপার এক পৃষ্ঠার। ব্যালটে প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর রয়েছে। বৃত্ত ভরাট করে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন।
ভোট গণনার স্ক্যানিং হবে ইমেজ আকারে। সেই ইমেজকে দুটো প্যারালাল স্ক্যান করা হবে। নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্তরা ভোট গণনা করবেন, তাদের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের প্রোগ্রামার আলাদাভাবে গণনা করবেন। দুটি মিলে গেলে ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে।