বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে শাহ আমানত, শহীদ আবদুর রব ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।
হতে সংগৃহিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট শুরুর পর চারঘণ্টায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা নিয়ে নির্বাচন তথ্য দিতে না পারলেও, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এই পরিসংখ্যান আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাঁচটি ভবনে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন চলছে, তার মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছেন সেখানকার রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বুধবার বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রের মোট ভোটার ৪ হাজার ৫৩৮ জন।
এই ভবনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. আল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৪৫ শতাংশের মত ভোট পড়েছে। এতক্ষণে তা ৫০ শতাংশ হতে পারে।”
বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে শাহ আমানত, শহীদ আবদুর রব ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ভোট সংখ্যা ৫ হাজার ২৬৩। এই অনুষদের ডিন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল শাহীন খান জানিয়েছেন বেলা ১টা পর্যন্ত এই অনুষদের ছয়টি কক্ষে ৩০ শতাংশ এবং অন্য ছয়টি কক্ষে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মোট ভোটার ৬ হাজার ৮১৮ জন। এই অনুষদের ডিন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারি বলেছেন, সেখানে বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৮৫৯ জন।
চাকসু নির্বাচন সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয়েছে আধা ঘণ্টা বিলম্বে। আর দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ভোট শুরু হয় আরো দেরিতে, বেলা সাড়ে ১১টার পর।
পাঁচটি ভবনের ৬০টি কক্ষে প্রায় ৭০০টি বুথে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউটের ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী তাদের সংযুক্ত ১৪টি হল এবং একটি হোস্টেলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এবারের চাকসু নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নিজেদের নামে প্যানেল দিলেও ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেলে নির্বাচন করছে।
এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ‘দ্রোহ পর্ষদ’ নামে প্যানেল দিয়ে চাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এছাড়া কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলিয়ে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
ভিপি পদে ২৪ এবং জিএস পদে ২২ জন ভোট করছেন।
ভোট শুরুর পরপরই ভোটারদের চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহৃত কালি অমোচনীয় নয় বলে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে অভিযোগ করে ইসলামী ছাত্রশিবির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। এছাড়া আইটি ফ্যাকল্টিতে ব্যালট বক্সে সাক্ষর ছাড়া ১২টি ব্যালট পাওয়ার অভিযোগও করেছে ছাত্রদল।
