“হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা দেওয়া হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়।”
হতে সংগৃহীত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সম্পত্তির বিরোধে এক ব্যক্তিকে তার ছোট ভাই হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের দুই ভাইসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের খাসের বাড়িতে বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলম জানিয়েছেন।
ওই বাড়ির ওমর খানের ছেলে নিহত ৫৭ বছর বয়সী খাজা আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে বাড়িতে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। তার সংসারে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা ৩৮ বছর বয়সী শাহজালাল খানও একসময় প্রবাসে ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট শাহজালাল বর্তমানে অটোরিকশা চালান।
নিহতের আরেক ভাই অলি উল্লাহ বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে গত কয়েকদিন ধরে শাহজালাল আমাকে আর খাজা ভাইকে হুমকি দিয়ে আসছিল। সম্পত্তির বিষয়ে শালিস বৈঠক হলেও শাহজালাল তা মেনে নেয়নি। বুধবার রাত ১১টার দিকে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খাজাকে মারধর করে এবং হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

“এ সময় খাজা ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে বড় ভাই নুর মোহাম্মদ খান ও শাহজালাল বাধা দেয়। এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়।”
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, “হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা দেওয়া হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়।”
এদিকে এই ঘটনার পর ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী রুবি আক্তার। আর নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি শাহ্ আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে ভাইদের মধ্যে মারামারি হয় বলে জানতে পেরেছি। এক পর্যায়ে হাতুড়ি আঘাতে খাজা আহমেদের মৃত্যু হয়।
“এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং শাহজালাল ও নুর মোহাম্মদসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।”