“লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে তুলে নিয়ে আসে।”
সংগৃহীত
চাঁদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে অ্যাম্বুলেন্সে ধর্ষণের অভিযোগে চালককে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজ গাছতলা স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিনই চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব তথ্য জানিয়ে শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ওই নারীর ছোট বোনের জামাই চালকসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুই-তিন জনের থানায় বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ৩৭ বছর বয়সী মো. মুরাদ হোসেন শহরের প্রফেসর পাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোস্তফা বেপারীর ছেলে। ‘আনঞ্জুমান’ নামের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় চালাতেন তিনি।
আর ২৪ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলায় বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, থানার এসআই ইবাদুল হক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহে হলে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই নারীকে উদ্ধার এবং গাড়িসহ চালককে আটক করে থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তার চালক মুরাদ হোসেন বলেন, তিনি ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় যান। সেখান থেকে চাঁদপুরে আসার পথে লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ওই নারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পরে কয়েকজনের সহযোগিতায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ধর্ষণ করা হয়।
স্বজনরা বলছেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ওই নারীকে স্বামী ছেড়ে গেছেন। তিনি মা-বাবার সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের অজান্তে তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিলেও হদিস মেলেনি।
ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে তুলে নিয়ে আসে।”
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
সংগৃহীত