“পরে শিল্প ও পুলিশ ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকরা চলেও গেছেন।”
সংগৃহিত
চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা আটটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেনশ্রমিকরা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে প্যাসিফিক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা ইপিজেড এলাকায় তাদের কারখানাগুলোর সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে পুলিশ ও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে শ্রমিকরা ফিরে যান।
সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমকে বলেন, “প্যাসিফিকের বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকরা অনেকেই সেটি জানতেন না। তারা সকালে কাজে যোগ দিতে আসেন।
“তারা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পর শিল্প ও পুলিশ ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তারা চলেও গেছেন।”
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্যাসিফিকের বিভিন্ন কারখানা শনিবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। সাত-আটশ শ্রমিক এসে সকাল থেকে জড়ো হন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে কথা বলে তারা চলে গেছেন।
শ্রমিক বিক্ষোভেল মুখে বৃহস্পতিবার রাত থেকে গ্রুপটির আটটি কারখানা বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধ ঘোষণা করে মালিক কর্তৃপক্ষ।
কাজ বন্ধ রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ারকওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন, জিন্স ২০০০।
গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত প্যাসিফিক গ্রুপের কিছৃ শ্রমিক-কর্মচারীরা পুলিশের হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে। ১৪ অক্টোবরও কয়েকটি কারখানায় বিক্ষোভ হয়।
পরে ১৫ অক্টোবর সব কটিতে বিক্ষোভ করলেও কোন সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সব কটি কারখানায় বিক্ষোভের পাশাপাশি, কর্মকর্তারদের ‘মারধর করার ঘটনা ঘটে’।
প্যাসিফিক গ্রুপের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার তা তীব্র আকার ধারণ করে। শ্রমিকরা অনেক কর্মকর্তাদের মারধর করেছে।”
কারখানা বন্ধের নোটিসে বলা হয়েছে, “কিছু শ্রমিক ১৪ অক্টোবর কাজ বন্ধ করে বেআইনিভাবে কর্রমবিরতি পালন করে। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও কারাখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে এবং ১৫ ও ১৬ অক্টোবরও অব্যাহত রাখে। এক পরযায়ে উক্ত শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, কারখানা ভাংচুর, এবং কর্মকর্তা ও করমচারীদের শারীরিকভাবে আঘাত করে।
“নোটিসে আরও বলা হয়, কারখানার শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের-২০১৯ অনুযায়ী বেআইসি ধর্মঘটের পর্যায়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে এবং শ্রমিকদের বাধার কারণে কারাখানা কাযক্রম চালু রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।”
এ বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে শ্রমিকদের ২২ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে ‘প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের’ শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। সে সময় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে কারখানার দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকরা মুচলেকা দিয়ে কাজে যোগ দেয়।
