প্রকল্পে ব্যয় হবে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা; তিন থেকে চার বছর লাগবে নির্মাণকাজ শেষ হতে।
সংগৃহিত
চট্টগ্রামে ‘মনোরেল’ প্রকল্প বাস্তবায়নে চারটি রুটে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীতে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এরমধ্যে নগরীর কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে) রুটটি হবে ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটারের।
সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত (এ কে খান, নিমতলা, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার লাইন করার কথা বলা হয়েছে।
চতুর্থ রুট হিসেবে রয়েছে সিটি গেট থেকে পোর্ট কানেক্টিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস হয়ে নিমতলা পর্যন্ত। এর দৈর্ঘ্য হবে ১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় গণপরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিক সমাধান জরুরি। মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী পাবেন নিরাপদ, সময়সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ।
“এতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল। চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরে সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।”
এর আগে চলতি বছরের ১ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) এবং আরব কনট্রাক্টরস ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
শুক্রবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ওরাসকম কন্সট্রাকশন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্পের সিসিসি’র সমন্বয়ক আবু সাদাত মো. তৈয়ব।
সভার বিষয়ে সিসিসি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনোরেল চালু হলে ওরাসকম যাত্রী প্রতি অন্তত ৫ টাকা হারে সিটি করপোরেশনকে মুনাফা দেবে।
প্রকল্পে ব্যয় হবে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি নিজেরা পরিচালনার পর পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করবে।
সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজসহ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আনুমানিক ৫০ একর জায়গা লাগবে। প্রতিদিন মনোরেল পরিচালনায় ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ মাস। তিন থেকে চার বছর লাগবে নির্মাণকাজ শেষ হতে।
