এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচে জেতা অসম্ভব মনে করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
কাগজে-কলমে টিকে থাকা সমীকরণ মিলিয়ে এশিয়ান কাপের বাছাই উৎরানো এখন বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন। তবে অসম্ভব তো নয়। জামাল ভূঁইয়ার মনোভাবও যেন ঠিক তাই, শেষের আগে শেষ নয়। হংকং চায়নার পথে উড়াল দেওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরল প্রায় অসম্ভব বৈতরণীই পার হওয়ার আশাবাদ।
বাছাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৭ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে তলানিতে নেমে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে হংকং। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর। তৃতীয় স্থানে আছে ভারত, ২ পয়েন্ট নিয়ে। গ্রুপ সেরা হতে বাকি তিন ম্যাচেই এখন জিততে হবে বাংলাদেশকে।
এই তিন পরীক্ষার প্রথমটি আগামী মঙ্গলবার, হংকংয়ের মাঠে। শুক্রবার দেশটির পথে রওনা হওয়ার আগে জামাল বলে গেলেন, হাল ছাড়বেন না তারা। তবে লক্ষ্য পূরণে সবশেষ ম্যাচের মতো শেষ মুহূর্তে খেই হারানোর ধারা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে, নিজেদেরকেই যেন মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
“এই দলের একটা ইতিহাস আছে-আমরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। এই ম্যাচের আগে আমরা আলাপ করেছি, আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনেও বলেছি, আমরা যদি জিততে চাই বা পয়েন্ট নিতে চাই, আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে, কিন্তু আমরা পারিনি।”
হংকংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে হাসিমুখে ফ্রেমবন্দী হলেন হামজা চৌধুরী। ছবি: বাফুফে
“আমাদের হাতে তিন ম্যাচ আছে। তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। এক পয়েন্ট হারালেই আমাদের বিদায়। জেতা সম্ভব হবে না কেন? সমর্থকদের ধন্যবাদ। (হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে) ৩ পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। ইনশাল্লাহ এবার আমরা কিছু দিতে পারব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে সেরা একাদশে ছিলেন না জামাল। শোমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদ-এই তিন প্রবাসীকেও বেঞ্চে রেখেছিলেন কোচ কাবরেরা। দ্বিতীয়ার্ধে এই চার প্রবাসী বদলি নামলে বাংলাদেশের খেলার গতি বাড়ে। শেষ দিকে শোমিতের গোলে সমতায়ও ফিরে দল। কিন্তু অন্তিম সময়ে ফের গোল হজম করে হারে বাংলাদেশ।
এই চার জনের শুরুর একাদশে না থাকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন কাবরেরা। দ্বিতীয়ার্ধের ভাবনায় তাদের বদলি নামানোর পরিকল্পনার কথা বলেন কোচ।
হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি লেগে শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ চান জামাল।
“আমি, শমিত, ফাহামিদুল, জায়ান যখন একসঙ্গে ওয়ার্ম-আপ শুরু করেছি, তখন ওদেরকে বলেছি আমরা যখন নামব, তখন ম্যাচের গতিপথ বদলাতে হবে। আমাদের চারজনের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। চারজনই শুরুর একাদশে খেলতে চাই। আমি তো সব ম্যাচ খেলতে চাই, কিন্তু দিনশেষে কারা খেলবে এটা কোচের সিদ্ধান্ত।”
