আর্সেনালে থিয়েরি অঁরির বিখ্যাত ১৪ নম্বর জার্সির সম্মান ধরে রাখতে চান সুইডিশ এই ফরোয়ার্ড।
সংগৃহিত
গোল নাই, গোল চাই। ভিক্তর ইয়োকেরেসকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা ছিল এটিই। মাঠে নিজের উপস্থিতি তিনি জানান দিচ্ছিলেন প্রবলভাবেই। দলে অবদান রাখছিলেন নানাভাবে। কিন্তু একজন স্ট্রাইকার যখন ম্যাচের পর ম্যাচ গোল পান না, প্রশ্নেরা তো ভিড় করতে শুরু করবেই! জোড়া গোল করে প্রশ্নগুলো আপাতত থামিয়ে আর্সেনালের ফরোয়ার্ড বললেন, আরও অনেক গোল করে এই জার্সির সম্মান তিনি রাখতে চান।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দুটি গোল করেন ইয়োকেরেস। দ্বিতীয়ার্ধে ১৩ মিনিটের টনের্ডোতে চার গোল করে দারুণ জয় পায় আর্সেনাল।
গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস ও গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলের পর দুটি গোল করেন ইয়োকেরেস। কেটে যায় তার ৯ ম্যাচের গোলের খরা।
অনেক আশা নিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি পাউন্ডে এবার ইয়োকেরেসকে দলে নিয়েছে আর্সেনাল। এখানে এসে তিনি পেয়েছেন ১৪ নম্বর জার্সি, যেটি ক্লাবের একটি উৎকর্ষের প্রতীক। এই জার্সিতেই আর্সেনালের সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে উঠেছেন থিয়েরি অঁরি। ইয়োকেরেসের কাছে তাই দল ও সমর্থকদের প্রত্যাশাও আকাশচুম্বি।
অথচ তিনি গোলের দেখাই পাচ্ছিলেন না টানা এতগুলো ম্যাচে। অবশেষে সেই সময়টা পেছনে ফেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইয়োকেরেস। ১৪ নম্বর জার্সির শ্রেষ্ঠত্বও তিনি ধরে রাখতে চান।
“অসাধারণ লাগছে, সত্যি বলছি। এই জার্সিতে মিশে আছে আর্সেনালের অনেক অনেক গোল…খুবই ভালো লাগছে।”
“সত্যি বলতে, জার্সি নম্বর খুব বেশি বাকি ছিল না আমি দলে আসার পর। তবে ১৪ নম্বর যখন পাওয়া গেল… আমার জন্য এটা ছিল বড় সম্মানের।”
ইয়োকেরেস বললেন, গত কিছুদিনে গোল না পেলেও নিজের ওপর আস্থা হারাননি তিনি। এখন এই গোলের ধারা ধরে রেখে দলকে এনে দিতে চান ট্রফি।
“আমার দুটি গোলই ছিল দারুণ। সবসময়ই চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দিতে, কঠোর পরিশ্রম করতে, নানাভাবে অবদান রাখতে। জানতাম, গোল আসবেই, আজ হোক বা কাল।”
“আমরা ট্রফি জিততে চাই। এটাই আমাদের তাড়না ও আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই আমি সেখানে অবদান রাখতে চাই গোল করে।”
জোড়া গোলের পর এক পর্যায়ে যখন তুলে নেওয়া হয় ইয়োকেরেসকে, এমিরেটস স্টেডিয়ামের দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান সুইডিশ এই ফরোয়ার্ডকে। কোচ মিকেল আর্তেতার মতে, এমন সম্মান প্রাপ্য ছিল ইয়োকেরেসের।
“আমার মনে হয়ে, এটা তার প্রাপ্য ছিল। কারণ, স্রেফ গোলটাই হচ্ছিল না, কিন্তু দলে যা কিছু সে বয়ে আনছিল এবং নানাভাবে দলে অবদান রাখছিল গত কয়েক সপ্তাহে, সেসব নিয়ে কোনো সংশয়ই ছিল না। ব্যাপারটি ছিল স্রেফ নিজের ওপর তার বিশ্বাস রাখা, উপভোগের মানসিক অবস্থাটা ধরে রাখা ও মুক্তমনে খেলা। দলের সবার দিকেও খেঢাল করছিলাম আমি, ছবি আর ভিডিওগুলো দেখছিলাম, সবাই তার জন্য খুশি।”
“আমাদেরকে দলকে অনেক ভালো করে তুলেছে সে। তার কারণে আমরা এখন অনেক বেশি অননুমেয় হয়ে উঠেছি। সে শারীরিকভাবে এতটা কার্যকর, যেভাবে বল ধরে রাখে, চাপ তৈরি করে, অসাধারণ তা। আজকে সে ভিন্ন ধরনের দুটি গোল করেছে। আশা করি, সে এই মোমেন্টাম ধরে রাখবে ও গোলের ধারায় থাকবে।”
