ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে ইসরায়েলি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় একথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সংগৃহিত
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় একথা জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এটি ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ লঙ্ঘন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার মধ্যাঞ্চলীয় বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পাঁচজন, গাজা সিটির সাব্রা এলাকার একটি ভবনের চারজন এবং খান ইউনিসে একটি গাড়ির পাঁচ আরোহীসহ অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন।
রাতভর গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি: রয়টার্স
বুধবার জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যা বুঝেছি, তারা এক ইসরায়েলি সেনাকে মেরে ফেলেছে, তাই ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হেনেছে। তাদের পাল্টা আঘাত হানা উচিত। এসব যখন ঘটবে, তাদের পাল্টা আঘাত হানা উচিত।”
রাফার ওই হামলায় এর আগে এক ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার কথা জানা গেলেও বুধবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “কোনো কিছুই যুদ্ধবিরতিটিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারবে না। আপনাকে বুঝতে হবে, হামাস মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ আর তাদের সঠিকভাবে চলতে হবে।”
মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় অবিলম্বে ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশ অনুযায়ী ওই দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া এক বাড়ির পাশের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে দুই ফিলিস্তিনি শিশু। ছবি: রয়টার্স
কিন্তু ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আক্রমণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, জানিয়েছে রয়টার্স।
ট্রাম্প বলেছেন, “তারা (হামাস) যদি ভালো হয় তাহলে তারা সুখি হতে যাচ্ছে আর তারা যদি ভালো না হয় তাহলে তাদের শেষ করে দেওয়া হবে। তাদের জীবন শেষ করে দেওয়া হবে।
“ওই ইসরায়েলি সেনার ক্ষেত্রে কী হয়েছে কেউ জানে না। কিন্তু তারা বলছে, এটি একটি স্নাইপার ফায়ার ছিল। আর এটা ছিল তার প্রতিশোধ। আর আমি মনে করি তাদের (ইসরায়েলের) এটি করার অধিকার আছে।”
ইসরায়েল তাদের সেনার ওপর হামলার ঘটনায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
