“সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে সহমর্মিতা ও সমর্থনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্মান ও ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে পারেন।”
সংগৃহিত
ব্রেস্ট ক্যান্সার যে কেবল নারীর শরীরে নয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে, সে কথা তুলে ধরলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক সাবিহা ইয়াসমিন রোজী।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি ক্যান্সার চিকিৎসায় ‘জেন্ডার দৃষ্টিভঙ্গি’ যুক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ ও সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন-সিসিসিএফ আয়োজিত ‘সুফিয়া কামাল লেকচার সিরিজ: ক্যান্সার কেয়ার-অ্যা জেন্ডার পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
সিসিসিএফের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য এবং স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবিহা ইয়াসমিন রোজী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সানজিদা আক্তার। সিসিসিএফের সাধারণ সম্পাদক জাহান-ই-গুলশানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সিসিসিএফের প্রেসিডেন্ট রোকশানা আফরোজ এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুবা পান্না ক্যান্সার সার্ভাইভার হিসাবে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
অধ্যাপক সানজিদা আক্তার বলেন, “সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে সহমর্মিতা ও সমর্থনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্মান ও ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে পারেন।”
অধ্যাপক হালিদা হানুম আখতার বলেন, “প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা। তাই ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং দ্রুত শনাক্তকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।”
সিসিসিএফের সাধারণ সম্পাদক জাহান-ই-গুলশান বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ক্যান্সার সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া–যেন কেউ অজান্তে বা অবহেলায় জীবনের মূল্যবান সময় হারিয়ে না ফেলে।”
সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন-সিসিসিএফ ক্যান্সার আক্রান্ত, সার্ভাইভার, ক্যান্সারে স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক, অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সিসিসিএফ ২০২৩ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে। সংগঠনটি ক্যান্সারাক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে।
