বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
সংগৃহিত
কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সিভিল এভিয়েশন–১ শাখা থেকে স্বাক্ষরিত এক সরকারি পত্রে ওই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ওই পত্রে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর পূর্ব পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হয়েছে।”
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
১২ অক্টোবর কক্সবাজারকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার, বৃহস্পতিবার তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিদেশি পর্যটক টানতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে। ওই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরটির রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করা হয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিগত আমলের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও কক্সবাজার বিমানবন্দরটির নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি। গত মার্চে এ বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর তেমন আগ্রহ দেখায়নি এয়ারলাইনগুলো।
চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি গন্তব্যের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চললেও কক্সবাজার থেকে এ ধরনের ফ্লাইট চালানো এয়ারলাইনগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মনে করছে না।
বেসরকারি এয়ারলাইনগুলো আগ্রহ না দেখালেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চলতি মাস থেকেই কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা ফ্লাইট চালানোর কথা ছিল। তবে সেই ফ্লাইট ওড়ার আগেই ‘আন্তর্জাতিক’ মর্যাদা হারাল কক্সবাজার।
